ছয় জেলায় গত শনিবার রাতে ও গতকাল কালবৈশাখী ও বজ্রপাতে মা-ছেলে ও স্কুলশিক্ষার্থীসহ ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দুই মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ইছামতী এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে ১৫টি বসতঘর। ভেঙে পড়েছে ৫৮ বৈদ্যুতিক খুঁটি ও ট্রান্সফরমার। এখনো বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে তিনটি ইউনিয়ন। গাছপালা উপড়ে গিয়ে বন্ধ রয়েছে সড়ক যোগাযোগও। এ ছাড়া কিশোরগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ পড়ে ছেলেসহ অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যু হয়।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও সিলেট জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ বৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে দুই নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের মধ্যবেতছড়ি গ্রামে রোববার ভোরে ভারী বৃষ্টিপাতের সঙ্গে বজ্রপাতে একটি টিনের ঘরে আগুন লেগে হাসিনা বেগম (৩০) ও ছেলে হানিফ মিয়ার (৮) মৃত্যু হয়।একই দিন ভোরে বজ্রপাতে উপজেলার ১ নম্বর রামগড় ইউনিয়নের দুর্গম হাজাছড়া (ডাক্তারপাড়া) এলাকায় বৃষ্টিপাতের সঙ্গে বজ্রপাতে গংজ মার্মাসহ (৫০) দুটি গবাদিপশুর মৃত্যু হয়। গংজ মার্মা দুর্গম হাজাছড়া এলাকার কংজ্র মার্মার ছেলে। একই সময় মাটিরাঙ্গায় বজ্রপাতে সমিকা ত্রিপুরা (২৬) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।