মিয়ানমারে গত ৩ বছরে ২১০টি গণহত্যায় ২ হাজারের বেশি বিদ্রোহী ও বেসামরিক মানুষকে হত্যা করেছে জান্তা বাহিনী। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানে সেনা সমর্থিত সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এসব হত্যাকাণ্ড ঘটে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি ঘটেছে সাগাইং অঞ্চলে। নায়ান লিন থিট অ্যানালিটিকা গ্রুপের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটি জান্তা বাহিনীর হাতে বেসামরিক মানুষ নিহতের সংখ্যা সংকলন করে থাকে।
মানবাধিকার ও গণতন্ত্রকর্মীরা বলেছেন, জাতিসংঘসহ বিশ্বের অন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অর্থপূর্ণ পদক্ষেপের অভাবেই জান্তা সরকার জনগণের ওপর এমন নির্বিচার ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চালাতে পেরেছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, জান্তার গণহত্যায় ২ হাজার ৭৯ জন নিহত হয়েছে। তারা একটি স্থানে বা একটি ঘটনায় ৫ জন বা তার বেশি নিহত হয়েছে-এমন ঘটনাকে একটি হত্যাকাণ্ড বলে চিহ্নিত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সাগাইং অঞ্চলে অর্ধেকেরও বেশি গণহত্যার খবর পাওয়া গেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে পৃথক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, জান্তা ১ হাজার ৬৫২টি নির্বিচার বিমান হামলা চালিয়ে ৯৩৬ জনকে হত্যা করেছে। হিসাব বলছে, বিমান হামলায় ১৩৭টি ধর্মীয় ভবন, ৭৬টি স্কুল এবং ২৮টি হাসপাতাল ধ্বংস হয়েছে।
অপর অধিকার গোষ্ঠী অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস জানিয়েছে, সামরিক জান্তা বাহিনীর মাধ্যমে ৪ হাজার ৬৫৪ জন নিহত হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৬ হাজার ২২৮ জনকে গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়েছে।