Print

Rupantor Protidin

জাবিতে প্রক্টর ও প্রাধ্যক্ষ্যের দায়িত্ব ছাড়ের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত

প্রকাশিত হয়েছে: মার্চ ১৩, ২০২৪ , ৭:৫৯ অপরাহ্ণ | আপডেট: মার্চ ১৩, ২০২৪, ৭:৫৯ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাসে ধর্ষণের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ.স.ম ফিরোজ-উল-হাসান ও মীর মশাররফ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাব্বির আলমের দায়িত্ব থেকে অপসারণের আশ্বাসে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ স্থগিত করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বুধবার বিকাল সাড়ে চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের সঙ্গে আলোচনা শেষে ‘নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের’ অন্যতম সংগঠক ও ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

অধ্যাপক পারভীন জলী বলেন, ‘উপাচার্য বলেছেন, আগামী ১৭ মার্চের মধ্যে প্রক্টর ও প্রাধ্যক্ষ নিজেরাই তাদের দায়িত্ব ছেড়ে দিবেন। অন্যথায় ৭৩ এর অধ্যাদেশ অনুযায়ী উপাচার্যের ক্ষমতা আছে, তিনি তাদেরকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিবেন। উপাচার্য আগামী ১৮ মার্চ দুপুর পর্যন্ত সময় চেয়েছেন। তাই অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করেছি। আগামী ১৮ মার্চের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না করা হলে আবারো কর্মসূচিতে যাবো।’

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচ দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। পরে দুপুর ১টায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের চার অনুষদের ডিন। এরপর বিকাল তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও ডিনরা। সেখানে উপাচার্য আন্দোলনকারীদের এ আশ্বাস দেন। আন্দোলনকারীদের এ আশ্বাসের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান।

তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে গণরুম বিলুপ্ত আবাসন নিশ্চিত করা এবং র‌্যাগিং সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা; ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময়ে নানাবিধ অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনা; নিপীড়কদের সহায়তাকারী প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষের অপরাধ তদন্ত এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত চলাকালে তাদের প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া; মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে জড়িতদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া।

এর আগে, গত সোমবার সকাল ৯টা থেকে নতুন প্রশাসনিক ভবনের ফটকে তালা ঝুলিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন আন্দোলনকারীরা।