সাতক্ষীরার আশাশুনির গুনাগারকাটি বেইলি ব্রীজ সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেতনা নদী খননের স্তূপ করে রাখা ক্রয়কৃত মাটি নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিকট থেকে অনুমতি সাপেক্ষে সোনালী ব্যাংকে রাজস্ব জমা দিয়ে সাতক্ষীরার স্থানীয় একটি পত্রিকার সম্পাদক ও বুধহাটার স্থানীয় বাসিন্দা মুনসুর ও তার ছেলে রানা মাটি ক্রয় করে বাড়ীর উঠান, রাস্তার ধারের ভাঙ্গনকুল পুকুর ও মৎস্য ঘেরের বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজে ব্যবহার করছিল।
কিন্তু এলাকার ছাত্রলীগ নামধারী একজন নেতা ও কুচক্রীমহল বাঁধা সৃস্টি করে বেতনা খননের ওই অতিরিক্ত মাটি নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী। খোজ নিয়ে জানাগেছে, সাতক্ষীরার জলাবদ্বতা নিরষনে ২০২২ সাল থেকে জেলার খাল-বিল ও বেতনা নদী খনন শুরু হয়েছে। বেতনা নদী খননে এক দিকে যেমন এলাকার জলাবদ্ধতা নিরষন হচ্ছে অপরদিকে নদীর অতিরিক্ত মাটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ নির্মাণসহ পাশ্ববর্তী গৃহস্থলীর উঠান ভরাট, রাস্তার ধারে ছোট বড় ডুবা ও পুকুর ভরাট এবং চিংড়ী ঘেরের বাঁধ নির্মানে ব্যাপক উপকারে আসছে এলাকাবাসীর।
তবে নদী খননের অতিরিক্ত এই মাটি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক অনুমোদন নিয়ে সরকারের রাজস্ব জমা দিয়ে এই মাটি ক্রয় করে নিতে হচ্ছে এলাকবাসীকে। ফলে একদিকে যেমন সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব পাচ্ছে অন্যদিকে স্তূপ করে রাখা বেড়িবাঁধের উপর থেকে মাটি এলাকাবাসী নিয়ে যাওয়ায় বেড়িবাঁধের উপর দিয়ে চলাচলের প্রতিবন্দকতা দূর হচ্ছে। এতে ভেড়িবাঁধের উপর দিয়ে রাস্তার যাতায়াত ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়েছে। ফলে উপকৃত হচ্ছে এলাকাবাসী।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানাগেছে, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের বাসিন্দা স্থানীয় দৈনিক সাতনদী পত্রিকার সম্পাদক হাবিবুর রহমান ব্যাংকে চালান ফর্মের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা ট্রাক্স ও ২২৭০ টাকার ভ্যাট জমা দিয়ে ৬০ হাজার ঘন ফুট মাটি ক্রয় করে। কিন্তু একটি কুচক্রীমহল কোন কিছু যাচায়-বাছাই না করে গুনাগারকাটি বেইলি ব্রীজ সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেতনা নদী খননের ওই স্তূপ করে রাখা অতিরিক্তি মাটি নিতে গেলে আশাশুনি ইউএনওকে ফোন করে তা বন্ধ করে দেন। ফলে তখনই তৈরী হয় বিপত্তি।
বৈধভাবে সরকারের কোষাগারে টাকা জমা দিয়েও ওই মাটি নিতে পারছেন না হাবিবুর রহমানের লোকজন। অচিরেই যাতে বৈধভাবে ক্রয়কৃত ওই মাটি নিতে পারে তার জন্য আশাশুনির ইউএনও রনি আলম নূরের দৃস্টি আর্কষন করেছেন এলাকাবাসী ও সাংবাদিক মহল।
এ ব্যাপারে আশাশুনির নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রনি আলম নূর জানান, যেহেতু সম্পাদক হাবিবুর রহমানের বৈধ কাগজপত্র আছে বিধায় ওই মাটি নিতে তার কোন বাঁধা নেই।