Print

Rupantor Protidin

পাইকগাছার আলোচিত ধর্ষন মামলার মাষ্টার মাইন্ড অস্ত্রসহ গ্রেফতার

প্রকাশিত হয়েছে: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪ , ৭:০৯ অপরাহ্ণ | আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪, ৭:০৯ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

পাইকগাছায় আলোচিত ধর্ষণ ও পাশবিক নির্যাতন ঘটনার মাষ্টার মাইন্ড একাধিক মামলার আসামি এনামূল (২৫) কে অস্ত্র-গুলি ও ইয়াবাসহ কপিলমুনি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঊর্ধ্বতন  কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ ঘটনার মূল হোতা এনামূলকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতার এনামুল জোয়াদ্দার গদাইপুরের একরামূল জোয়াদ্দারের ছেলে।

গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এএসপি সার্কেল, থানা অফিসার ইনচার্জ, ইন্সপেক্টর (তদন্ত)’র নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে উপজেলার কপিলমুনি’র পুর্ব কাশিমনগরের একটি পরিত্যক্ত মাছের ডিপো থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার দেহ তল্লাশী করে ১টি দেশীয় তৈরী কালো রংয়ের ওয়ান শুটার গান, এক রাউন্ড তাজা গুলি ও এক’শ পিস ইয়াবা ও ৫০ পিস চেতনা নাশক ট্যাবলেট উদ্ধার হয়। গদাইপুরের একরামূল জোয়াদ্দারের ছেলে ধৃত এনামূলের তথ্যমতে তার মায়ের কাছ থেকে চোরাই মোবাইল ও ডুমুরিয়ার মালতিয়া গ্রামের দীপক হালদারের ছেলে স্বর্নকার সুমন হালদার (৪০)’র কাছ থেকে চোরাই স্বর্নের দুল উদ্ধার করে পুলিশ। ইতোমধ্যে পুলিশ এ মামলায় রাড়ুলীর ছামাদ সরদার (৪৫) কে গ্রেপ্তার করে জেল-হাজতে পাঠিয়েছেন। আলোচিত ধর্ষণ কার্ড ও দস্যুতাবৃত্তির ঘটনায় জড়িত এনামুলকে গ্রেপ্তার ঘটনায় গোটা এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে।

এদিকে শুক্রবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এ সম্পর্কে প্রেস ব্রিফিং করেছেন সদ্য পদন্নোতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার।

উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে রাড়ুলীতে স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিয়ে দুর্বৃত্তরা বাড়ি ঘেষা গাছ বেয়ে একতলা বিল্ডিং এর চিলে কোটায় উঠে। এর পর তারা সাবল দিয়ে দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে ভয় দেখিয়ে হাত-পা বেঁধে গৃহবধূর ভ্যানাটি ব্যাগ থেকে সাড়ে ১১ হাজার টাকা,১টি বাটন মোবাইল ও টেনে হেচড়ে কানে থাকা দু-আনা ওজনের দু’টি স্বর্নের দুল ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে দুর্বৃত্তরা গৃহবধূর মুখে সুপার গলু আঠা লাগিয়ে ধর্ষণ করে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। ভোর রাতে প্রতিবেশিরা টের পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।

এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।

এ সম্পর্কে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইনস্পেক্টর (তদন্ত) তুষার কান্তি দাশ জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ ঘটনার মূল হোতা এনামূলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আরও বলেন, অন্য একটি চুরির ঘটনায় স্বর্ন উদ্ধারেও আটক সুমনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওবাইদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় অন্য কারা জড়িত আরোও জানতে হলে গ্রেপ্তারকৃত এনামুলকে ব্যাপক জিসাজ্ঞাবাদ জরুরী। ভিকটিমের শারিরীক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভিকটিম অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছেন।