Print

Rupantor Protidin

ভারতের পেট্রাপোল কাস্টমসে বাংলাদেশি নারীকে স্বর্ণবারসহ আটক

প্রকাশিত হয়েছে: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪ , ৯:৩৫ অপরাহ্ণ | আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪, ৯:৩৫ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

ভারতের পেট্রাপোল কাস্টমসে ৪৬৬ গ্রাম ওজনের ৪টি স্বর্ণের বারসহ নাজনীন নাহার নামে বাংলাদেশি এক পাসপোর্টধারীকে আটক হয়েছে। এসময় গোঁপন সংবাদে তাকে ধরে এই স্বর্নবার উদ্ধার করে সীমান্তরক্ষী বিএসএফ সদস্যরা। তিনি বেনাপোল চেকপোষ্ট হয়ে ভারতে গিয়েছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পেট্রাপোল থানা পুলিশে সোপর্ট করেছে বিএসএফ।

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল কাস্টমসের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সীমান্তরক্ষী বিএসএফ সদস্যরা তাকে স্বর্ণবারসহ আটক করে। আটক স্বর্ণপাচারকারী নাজরীন নাহার ঢাকার ভুইয়া পাড়া খিলগাও এলাকার মোহাম্মদ আলতাফ হোসেনের স্ত্রী।

ভারতের পেট্রাপোল কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, নাজনীন নাহার বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমস পার হয়ে ভারতের পেট্রাপোল কাস্টমসে পৌঁছালে তার গতিবিধিতে সীমান্তরক্ষীদের সন্দেহ হয়। এসময় তার শরীর তল্লাশির এক পর্যায়ে পেটের ভিতর পায়ু পথে লুকিয়ে রাখা ৪ পিস স্বর্ণের বার পাওয়া যায়।

জানা যায, বেনাপোল বন্দর দিয়ে বানিজ্য ও যাত্রী যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ঝুকি বাড়ায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ৪ টি স্ক্যানিং মেশিন স্থাপন করে। এর একটি মোবাইল স্ক্যানার স্থাপন হয় বন্দরের বাইপাস সড়কে পণ্য প্রবেশ দ্বারে। অত্যাধুনিক মেশিনটি পণ্যবাহী ট্রাকে আসা রাসায়নিক, মাদক, অস্ত্র ও মিথ্যা ঘোষনার পণ্য শনাক্ত করতে সক্ষম। এছাড়া বেনাপোল চেকপোষ্ট ও রেল ষ্টেশন আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন-কাস্টমস রুটে চোরাচালান রোধে আরো ৩টি স্ক্যানিং মেশিন বসানো হয়। স্ক্যানিং মেশিনটি কাস্টমসের পক্ষে পরিচালনা করে আসছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাসোসিয়েটস। তবে স্ক্যানিং মেশিন গুলোর মধ্যে ৩ টি যান্ত্রিক ত্রুটিতে পড়ায় গেল ৪ মাস ধরে স্কানিং কার্যক্রম সম্পূর্ন বন্ধ রয়েছে এপথে। এতে অবাধে আমদানি পণ্য ও পাসপোর্ট যাত্রীর মাধ্যমে স্বর্ণ ও মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে চোরাচালান ব্যাপক হারে বেড়েছে। এছাড়া ঢাকা-কলকাতা রুটে যাত্রি নিয়ে চলাচলকারি পরিবহনগুলো অনেকেই জড়িয়ে পড়ছে চোরাচালানে।

কাস্টমসের পক্ষ্যে স্ক্যানিং মেশিন তদারকিতে নিযুক্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ফাইবার এ্যাসোসিয়েটস এর বেনাপোল অফিস ব্যবস্থাপক বনি আমিন জানান, স্ক্যানিং মেরামত করতে বড় অংকের অর্থের প্রয়োজন। সেটি চুক্তি অনুযায়ী কাস্টমস ব্যয় বহন করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন না করায় স্ক্যানিং ৩টির কার্যক্রম বন্ধ আছে।