Print

Rupantor Protidin

মাভাবিপ্রবিতে উদযাপিত হলো বাগদেবীর বন্দনা

প্রকাশিত হয়েছে: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪ , ১:২৭ অপরাহ্ণ | আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪, ১:২৭ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

মাভাবিপ্রবিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আয়োজনে পালিত হলো বিদ্যাদায়িনী দেবী মা সরস্বতীর পূজা অর্চনা। বুধবার সকল শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সম্মিলিত অংশগ্রহণে উৎসবমূখর পরিবেশে পালিত হয় দেবীর পূজা। সকালে মায়ের প্রাণ প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় পূজাবিধি।

সরস্বতী পূজা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান উৎসব। দেবীর এক হাতে বীণা থাকার কারণে, মা সরস্বতীকে সংগীত দেবী বা বীণাপাণিও বলে থাকে। শাস্ত্রমতে সরস্বতী শব্দটির অর্থ, ‘সতত রসে সমৃদ্ধা’। তিনি শুক্লবর্ণা, শুভ্র হংস বাহনা। ‘বীণা-রঞ্জিত পুস্তক হস্তে।’ অর্থাৎ এক হাতে বীণা ও অন্য হাতে পুস্তক।  মাঘ মাসের শুক্লা পক্ষের পঞ্চমী তিথিতে পূজিত হন মা সরস্বতী।

সরস্বতী পূজার মূল উদ্দেশ্য হলো পৃথিবীর সকল মানুষ যেনো আলোর পথের সকল শিক্ষা অন্তরে ধারণ করতে পারে। অন্তরের সকল অন্ধকার ত্যাগ করে যেনো আলো পথে যেতে পারে। দেবীর বাহন রাজহাঁস। রাজহাঁস স্বচ্ছতা ও শুভ্রতার প্রতীক। হাঁস যেমন কাঁদামাটি থেকে তাদের খাদ্য গ্রহন করে তেমনি মানুষ যেনো  সকল পরিস্থিতির মাঝে শিক্ষা গ্রহণ করে দেবীর বাহন সেই শিক্ষা দেয়।

সম্প্রীতি ও অসাম্প্রদায়িকর চেতনায়  পালিত হয় দেবী বন্দনা। শিক্ষা, ন্যায় ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে ক্যাম্পাসে আয়োজিত এ সরস্বতী পূজা। জ্ঞানের দেবীর আরাধনার পাশাপাশি সবার সাফল্য কামনায় যেন উৎসবমূখর ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে মাভাবিপ্রবির ক্যাম্পাসের পূজামণ্ডপ।

এসময় শিক্ষার্থীরাসহ সকলে যেনো দেবী বন্দনায় মেতে উঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতনী শিক্ষার্থীদের জানান, দেবী যেনো সকলের মনের অজ্ঞানতা দূর করেন। সকলের অন্তরে জ্ঞানের আলো ছাড়ায় এই আশা তাদের। তারা আরো বলেন মা শুধু শিক্ষার্থী কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবদ্ধ নয়। দেবীর অবস্থান সকল মানুষের মনে।