Print

Rupantor Protidin

হাজী ক্যাম্প এলাকায় ফুটপাত দখল করে লাখ লাখ টাকার চাঁদা বাণিজ্য

প্রকাশিত হয়েছে: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪ , ২:১৪ অপরাহ্ণ | আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪, ২:১৪ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

বিমানবন্দর থেকে  হাজীক্যাম্প পর্যন্ত ফুটপাত দখলকরে লাখ লাখ টাকার চাঁদা বাণিজ্য। নেপথ্যে রয়েছে পুলিশ ও কিছু পাতি নেতা। সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায় বিমানবন্দর রেলক্রসিং থেকে শুরুকরে হাজীক্যাম্প ও তার আশপাশের এলাকায় প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত পথচারীদের হাঁটার জায়গা দখল করে বসেছে বাজার। বাধ্য হয়েই পথচারীরা ফুটপাত ছেড়ে ব্যাস্ততম রাস্তা ধরেই গন্তব্যে ছুটেন। সন্ধ্যা নামলেই দেখা যায় পুরো ফুটপাতের কোথাও ফল, সবজি,মাছ, মুদি, জুতা এমন একাধিক দোকানের পসরাসাজিয়ে বসেছেন অনেক দোকানী। শুধুকি তাই ফল দোকান প্রতি ৫০০ মাছ দোকান প্রতি দিতে হয় ১০০০ টাকা,সবজি দোকানের ধরণ ভেদে আদায় হয ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। জুতার দোকানীকে ও খেলনার দোকানীকে দিতে হয় ৩০০ টাকা করে। এই ফুটপাতে প্রতিদিন প্রায় ২০০ টির মত দোকান বসে। বিমান বন্দরের আশেপাশে। এছাড়া রেললাইনের পাশ ঘেঁষে বসেছে চায়ের দোকান। এতে করে প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকে। বিমানবন্দর রেলষ্টেশনে যাতায়াতকারী যাত্রীদের পড়তে হয় বিড়ম্বনায়।
প্রতিদিন এই ফুটপাথ থেকে লাখ লাখ টাকার চাঁদা আদায় হয়। ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ জনগন। ডালিয়া এবং ইসরাফিল নামে দুজন পথচারী আক্ষেপ করে বলেন, এগুলো কি দেখার কেউ নেই। ফুটপাত ছেড়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক ব্যক্তি বলেন টাকা হলে আমাদের দেশের আইন কানুন সবই পরিবর্তন করা সম্ভব। ফুটপাতে বাজার করা আমিন সাহেব বলেন যে টাকা চাঁদা হিসেবে তারা দিচ্ছে এই টাকা গুলো আমাদের কাছ থেকেই অতিরিক্ত দাম হিসেবে নিয়ে নিচ্ছে। মধ্যখান থেকে পুলিশ ও পাতি নেতাদের পকেট গরম হচ্ছে। তবে লোকমুখে শোনা যায় বিমানবন্দর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ শফিক সাহেবের নিয়ন্ত্রণে  রয়েছে বাজারটি।
এ বিষয়ে জানার জন্য শফিক সাহেবের অফিসে গিয়ে  তাকে না পেয়ে ফোন করা হলে তিনি বলেন, আমার বাসায়  মেহমান আসছে আমি এখন আসতে পারবো না। অপরদিকে বিষয়টি নিয়ে  বিমানবন্দর রেলওয়ে পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ সুনীল চন্দ্র সূত্র ধরের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আসলে উচ্ছেদের বিষয়টি রেলওয়ে কতৃপক্ষের কাজ আমরা শুধু তাদের সহায়তা করতে পারি। আমরা রেললাইন থেকে ডানে ও বামে ১০ ফিট জায়গা পরিস্কার আছে কিনা তা নিশ্চিত করি। বিষয়টি নিয়ে উত্তরা বিভাগের ডিসি ট্রাফিক কে ফোনকরা হলে তিনি ফোন ধরেননি। খুদে বার্তা প্রেরণ করা হলেও কোন উত্তর মেলেনি। পথচারীদের দাবী ফুটপাত দখল মুক্ত করা হোক।