Print

Rupantor Protidin

কেশবপুরে নিন্ম মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ সমিতি

তড়িঘড়ি করে ভোট গ্রহণের দিন ধার্য, ভোট বর্জন ৩ প্রার্থীর

প্রকাশিত হয়েছে: ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৪ , ৯:৪৮ অপরাহ্ণ | আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৪, ৯:৪৮ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

তড়িঘড়ি করে কেশবপুরে নিন্ম মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ সমিতি স্থাগিত ভোট কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ পুনরায় ১০ ফেবুয়ারী, শনিবার ঘোষণায় কেশবপুর পৌরসভা ও ৬ নং সদর কেশবপুর শিক্ষক প্রতিনিধি পদে প্রতিদ্বন্দী ৩ প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। গত ৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার পৌরসভা ও ৬নং কেশবপুর ইউনিয়ন কমিটির ভোট গ্রহনেল দিন থাকলেও ভোট শুরুর আধা ঘন্টা আগে ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি।

৬ নম্বর ইউনিয়ন শিক্ষক প্রতিনিধি পদে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী অজিত মুখার্জী বলেন, গত শনিবারের ভোটের চিঠি পেয়েছি বৃহস্পতিবার নির্বাচন বর্জন করেছি।

কেশবপুর পৌর শিক্ষক প্রতিনিধি প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী মাসুম বিল্লাহ জানান, নির্বাচন বর্জন করেছি। একাধিক সাধারণ শিক্ষক জানান কতিপয় শিক্ষক নেতা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে জেতাতে দৌঁড়ঝাঁপ শুরু করেছে। শিক্ষকদের কেউ কেউ প্রভাবিত করছে। অনিয়ম ঢাকতে নানা রকম ছলচাতুরী করছে। কেশবপুরে নিন্ম মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ সমিতি অবৈধভাবে গঠন করার অভিযোগ। ১৩ জানুয়ারি নির্বাচনী তফশীল ঘোষণা করেন। গত ১৫ থেকে ১৭ জানুয়ারি সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ কার্যনির্বাহী কমিটির ৬ টি পদ ও ১১ টি ইউনিয়ন প্রতিনিধি পদে মোট ৪১ জন প্রার্থী নোনয়ন পত্র ক্রয় করেন। তফশীল অনুযায়ী ১৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলে সেটাই আগেই ২৫ জানুয়ারি ফেসবুকে পোস্টেএস এম মজ্ঞুরল ইসলাম কে সভাপতি ও বাসুদেব সেনগুপ্ত কে সাধারণ সম্পাদক ৬ জনের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর শিক্ষকরা এই অবৈধ কমিটি প্রত্যাখান করেন।

কেশবপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সমিতির সভাপতি প্রার্থী আব্দুল মান্নান বলেন, উপজেলার ওই কমিটি অবৈধভাবে করা হয়েছে। তফশীল অনুয়ায়ী ভোটের দাবী করেন। ইতোপূর্বে গত ১১ মাসে তিন বার কমিটি ঘোষণা হওয়ায় ব্যাপক আলোচিত হয়ে ওঠে কেশবপুরে নিন্ম মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ সমিতি। বেগমপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সাধারণ স¤পাদক পদপ্রার্থী স্বপন মন্ডল ও সহ সাধারণ সম্পাদক অর্থ শামসুর রহমান অভিযোগ করেন, গত ২৫ জানুয়ারি পূর্বপরিকল্পিতভাবে ওই অবৈধ পকেট কমিটি করেছে। এই অবৈধ কমিটির বন্ধের দাবী জানায়। একাধিক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ইউনিয়ন কমিটি ঠিক না করে থানা কমিটি গঠন করাই বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে ভান্ডারখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও নির্বাচন কমিশনার নুরুল ইসলাম বলেন, গত ৩ ফেব্রুয়ারী শনিবার পৌরসভা ও ৬ নম্বর কেশবপুর ইউনিয়ন শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনের দিন ছিল কিন্তু ওই দুইটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ করা হয়। সেই দুইটি কেন্দ্রের পুনরায় ভোট গ্রহণ ১০ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত হবে।