Print

Rupantor Protidin

চৌগাছায় তিনদিন ব্যাপী গুড় মেলা উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক

প্রকাশিত হয়েছে: জানুয়ারি ২৯, ২০২৪ , ৬:৪৮ অপরাহ্ণ | আপডেট: জানুয়ারি ২৯, ২০২৪, ৬:৪৮ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

যশোরের জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান মজুমদার বলেছেন খেজুর গুড় উৎপাদনের সাথে যে সকল গাছিরা জড়িত তাদের সহযোগিতা অব্যহত থাকবে। তিনি বলেন যশোরের যশোরের ঐতিহ্য হচ্ছে খেজুর গুড়। এই ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে সকলের সহযোগিতা করতে হবে।

তিনি বলেন গুড় মেলা নিয়ে আমার তেমন ধারনা ছিলনা। কিন্তু গুড়ের মেলায় এসে আমি ধন্য হয়েছি। তিনি আরো বলেন  শুধু চৌগাছায় নয় সারা দেশে যশোরের ঐতিহ্য ছড়িয়ে দিতে হবে। সোমবার বেলা ১২ টায় উপজেলা চত্তরে যশোরের ঐতিহ্য ধরে রাখতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তিন দিন ব্যাপী খেঁজুর গুড় মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, গুড় মেলাটি চৌগাছা থেকে শুরু হয়েছে। মেলা থেকে গাছিরা যেমন উপকৃত হবেন তেমনি ক্রেতাসাধারণ ভেজালমুক্ত গুড় ক্রয় করতে পারবেন। তাই প্রতিবছর মেলার কার্যক্রম অব্যহত রাখতে আমাদের সহযোগিতা করতে হবে। বর্তমান সরকার জনগনের উন্নয়নে সব সময় সচেষ্ট।

আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুস্মিতা সাহার সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ড. এম মোস্তানিছুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কলামিস্ট মিজানুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) গুঞ্জন বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি মাসুদ চৌধুরী, পৌর মেয়র নূর উদ্দীন আল মামুন হিমেল, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসার শফিকুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোসাব্বির হোসেন, গবেষক নকিব মাহমুদ প্রমূখ ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী রিয়াসাত ইমতিয়াজ, শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান হবিবর রহমান হবি, নূরুল কদর, অবাইদুল ইসলাম সবুজ, আব্দুল হামিদ, আবুল কাশেম, শাহীনুর রহমান, আতাউর রহমান লাল ও এস এম মমিনুর রহমান, প্রেসক্লাব চৌগাছার সভাপতি সহকারী অধ্যাপক ইয়াকুব আলী, সাধারণ সম্পাদক শাহানুর আলম উজ্জ্বলসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, খেজুরগাছ চাষি, গাছি, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান মজুমদার গুড় মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষনা করেন এবং স্টল পরিদর্শণ করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে মেলার বৈশাখী মঞ্চে মনোজ্ঞ এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।