Print

Rupantor Protidin

বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন, পদের অন্তরালে অবৈধ সুবিধা! 

প্রকাশিত হয়েছে: জানুয়ারি ২৬, ২০২৪ , ১০:৪১ অপরাহ্ণ | আপডেট: জানুয়ারি ২৬, ২০২৪, ১০:৪১ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচন আগামী ৩১ জানুয়ারি। ইতোমধ্যে প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন শিক্ষকরা। তবে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা বলছেন, সাধারণ শিক্ষকদের জন্য কাজ করার কথা থাকলেও নেতৃবৃন্দ কেবল নিজেদের ব্যক্তিস্বার্থে ও অবৈধ সুযোগ আদায় করে নিতেই ব্যবহার করেন এসব পদপদবী।
এমনকি বিভিন্ন নিয়োগ নিয়ে বাণিজ্য করার প্রশ্নে উঠে এসেছে বেশকিছু শিক্ষক নেতাদের নাম। এ নিয়ে সম্প্রতি উচ্চতর তদন্ত কমিটি সরেজমিনে তদন্ত কার্যও সম্পাদন করেছেন। নিয়োগ বাণিজ্য,অবৈধভাবে প্রমোশন বাগিয়ে নেয়া, শিক্ষার্থী ভর্তিতে অনিয়ম, মার্ক টেম্পারিং ও যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষককে সুবিধা দেয়ার বিষয়ে বারবার নাম আসা অভিযুক্ত অনেক শিক্ষকই এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
শিক্ষকদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করার কথা থাকলেও গত কয়েক বছরে শিক্ষকদের সব দাবি আদায়ে সফল না হলেও শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড চলাকালীন বোর্ড কক্ষে প্রবেশ, নির্দিষ্ট প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে চাপ প্রয়োগ, অবৈধভাবে আপগ্রেডেশন নেয়া, মার্ক টেম্পারিং ও যৌন হয়রানির মতো ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পক্ষ নিতে দেখা গেছে শিক্ষক নেতাদের। আর এতেই প্রশ্ন উঠেছে, শিক্ষকদের স্বার্থ রক্ষায় নয়, বরং ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে এসব পদ-পদবী।
এ বিষয়ে কৃষি অনুষদের ডিন ড. নাজমুল হক শাহীন বলেন, আমার বিভাগের মার্ক টেম্পারিং নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিংহভাগ শিক্ষক এগিয়ে যেতে বললেও দুই-এক জন বিভিন্নভাবে পিছিয়ে যেতে বলেছেন। আমরা এমন শিক্ষক সমিতি চাই, যারা শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের প্রয়োজনে কাজ করে যাবেন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক বলেন, অনেক শিক্ষকের প্রমোশন আটকে আছে। ন্যায্যতার বিচারে তাদের অবশ্যই প্রমোশন পাওয়ার কথা। কিন্তু তারা প্রমোশন না পেলেও অতীতে অনেক শিক্ষক নেতার আপগ্রেডেশন নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীকারের চেতনায় বিশ্বাসী পরিষদের হয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমাদের প্যানেল এর আগেও নির্বাচিত ছিলো। আমরা সাধারণ শিক্ষকদের জন্যই কাজ করি। এবার আমাদের প্যানেল নির্বাচিত হলে স্মার্ট ও গবেষণায় উন্নত ক্যাম্পাস গড়তে কাজ করে যাব।
অভিযোগের বিষয়ে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্য পরিষদের হয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রার্থী ও সর্বশেষ কমিটির সহ-সভাপতি ফায়েকুজ্জামান মিয়া বলেন, আমরা কথা দিয়েছিলাম, শিক্ষক সমিতির পদে থেকে আমরা কোনো প্রশাসনিক দায়িত্ব গ্রহণ করবো না। আমরা আমাদের কথা রেখেছি। ভবিষ্যতেও আমরা শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে এলে প্রশাসনিক কোনো দায়িত্বে আসবো না।
শিক্ষক সমিতির পদ ব্যবহার করে অনিয়ম করার বিষয়ে তিনি আরো বলেন, এমন কথা শোনা গেলেও সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ আমি পাইনি বিধায় মন্তব্য করবো না।