Print

Rupantor Protidin

নড়াইলে দেশি বিলের পুঁটি শুঁটকিতে ভীম কুমারের স্বপ্ন পূরণ 

প্রকাশিত হয়েছে: জানুয়ারি ২৬, ২০২৪ , ৯:৪২ অপরাহ্ণ | আপডেট: জানুয়ারি ২৬, ২০২৪, ৯:৪২ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

নড়াইল সদর উপজেলার সিংগাশোলপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা ভীম কুমার বিশ্বাস (৪০)। বেকার জীবনের অভিশাপ থেকে বেড়িয়ে আসতে তিনি কোনো প্রকার কেমিক্যাল ছাড়াই  বিলের দেশি  পুঁটি মাছের শুঁটকি তৈরি করে বছরে ১০-১২ লাখ টাকা আয় করছেন। তার এই শুঁটকি বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি হচ্ছে। আগামীতে বিদেশে শুঁটকি রপ্তানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করবেন বলে বিশ্বাস করেন তিনি।
মির্জাপুর গ্রামে দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠের এক পাশে বাঁশের তৈরি মাঁচায় রোদে শুকানো হচ্ছে বিলের দেশি  পুঁটি মাছের শুঁকটি।  ৪ থেকে ৫ জন শ্রমিক দিনভর মাছ শুকানোর কাজে ব্যস্ত থাকেন। জেলার বিভিন্ন হাট-বাজার থেকে পুঁটি মাছ সংগ্রহ করে এখানে এনে রোদে শুকিয়ে শুঁটকি তৈরি করা হয়।
শুঁটকি তৈরির কাজ করা শ্রমিক রাজ কুমার বলেন, বাজার থেকে ১৫০০-২০০০ হাজার টাকা মণ দরে পুঁটি মাছ কিনে আনা হয়। পরে মাছগুলো ভালোভাবে ধুয়ে মাঠে সূর্যের রোদে শুকানো হয়। টানা ৭-১০ দিন রোদে শুকিয়ে বস্তায় ভরে শুঁটকি বিক্রি করা হয়। এই মাছ ২৪ থেকে ২৬ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হয়।
শুঁটকি প্রস্তুতকারক ভিম কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘জেলার বিভিন্ন হাট-বাজার থেকে দেশি পুঁটি মাছ সংগ্রহ করে ভালো করে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে শুঁটকি করা হয়। কোনো ক্ষতিকারক কেমিক্যাল ছাড়াই আমি শুঁটকি মাছ তৈরি করি। যে কারণে আমার শুঁটকির চাহিদা বর্তমানে জেলার গন্ডি পার হয়ে এখন দেশজুড়ে। শ্রমিকদের বেতন দিয়ে বছরে আমার ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা আয় থাকে।’
সিংগাশোলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিটু মোল্যা বলেন, ভিম কুমার বিশ্বাসের শুঁটকি মাছ থেকে সফলতা পেয়েছেন। তার এই সফলতা আশপাশের গ্রামের বেকার যুবকদের বিভিন্ন মাছের শুঁটকি তৈরিতে আগ্রহী করে তুলবে। ফলে, ক্ষুদ্র শুঁটকি ব্যবসায়ীরা স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি এলাকার যুবসমাজ বেকারত্বের অভিশাপ থেকে রক্ষা পাবেন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, ভিম কুমার বিশ্বাসের শুঁটকি ব্যবসার প্রসার ঘটাতে জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সব প্রকার সহযোগিতা করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। সব কিছু মিলিয়ে নড়াইল শস্য ও মৎস্য ভান্ডার নামে খ্যাত। এ অঞ্চলের ফসলাদি ও মৎস্য সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সংরক্ষণ করতে পারলে দেশের অর্থনৈতিক ব্যাপক উন্নতি লাভ করবে।