Print

Rupantor Protidin

মাদক সেবন করাতে ব্যর্থ স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন

প্রকাশিত হয়েছে: ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩ , ৮:১৬ অপরাহ্ণ | আপডেট: ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩, ৮:১৬ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

নিজের স্ত্রীকে মাদক সেবন করাতে ব্যর্থ হয়ে বেপরোয়া শাররীক নির্যাতন চালিয়েছে মাদকাসক্ত স্বামী। গত বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ধাপুয়ারচক গ্রামে। স্বামীর নির্যাতনের শিকার আসমা খাতুন (২২) নামের ঐ নারীকে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে স্বজনরা। তিনি একই গ্রামের মৃত মুনসুর তরফদারের ছেলে একাধিক মাদক মামলার আসামী রিপন তরফদারের স্ত্রী। যদিও মাদক সেবনে বাধ্য করার কথা অস্বীকার করে রিপন জানায় মায়ের সাথে দূর্ব্যবহার করায় তিনি স্ত্রীকে শাসন করেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আসমা খাতুন জানায় তিন বছর আগে সম্পর্কে জড়িয়ে রিপনের সাথে তার বিয়ে হয়। প্রায় এক বছর পূর্ব হতে রিপন যৌতুকের দাবিতে তার উপর শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। একপর্যায়ে যৌতুক দিতে না পারলে তাকেও মাদক গ্রহনের জন্য জোরাজুরি করতে থাকে সে। ঘটনার রাতে রিপনের জোরাজুরির কারনে বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ায় লাঠি ও হাত দিয়ে তাকে বেপরোয়া মারধর করা হয়। মুখ-মন্ডলসহ বুকে পিঠে এবং পায়ের মধ্যে রক্ত জমাট বেঁধে গেলেও চিকিৎসকের কাছে না নিয়ে তাকে ঘরে আটকে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে স্বামী ঘুমিয়ে যাওয়ার সুযোগে তিনি পালিয়ে বাবার বাড়িতে পৌছানোর পর তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়।
আহত নারীর মামা আবু ইসা বলেন, ইতিপুর্বে যৌতুকের দাবিতে মারধরের একপর্যায়ে আসমার মুখে কীটনাশক ঢেলে দেয় রিপন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফেরার কয়েক মাসের মধ্যে আবারও তার উপর ম্যধযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়েছে। একাধিক মাদক মামলার আসামী রিপন তার পরিবারসহ আসমাকে নানাভাবে ক্ষয়ক্ষতির হুমকি দিচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সিরুজ্জামান বলেন, খুবই খারাপভাবে দীর্ঘক্ষন ধরে তাকে আঘাত করা হয়েছে। ভোতা কিছুর আঘাতে মুখ-মন্ডলসহ বুক পিঠ এবং পায়ের বিভিন্ন অংশে রক্ত জমাট বেঁধে গেছে। ভর্তি হওয়ার পর তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
অভিযুক্ত রিপন তরফদার মাদক মামলার কথা স্বীকার করে বলেন, দুটি মামলার একটি নিস্পত্তি হয়েছে। তার মায়ের সাথে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়ায় স্ত্রীকে মারপিট করেছে দাবি করে তিনি আরও বলেন স্ত্রী’র সাথে বিষয়টি তিনি মিটিয়ে নেবেন।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ ধরনের কোন অভিযোগ এখনও পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পাওয়া মাত্রই পুলিশ প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ দিবে।