Print

Rupantor Protidin

মণিরামপুরে আ. লীগের দু‘গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া: সংঘর্ষে আহত ১০

প্রকাশিত হয়েছে: নভেম্বর ১৪, ২০২৩ , ১২:১৮ অপরাহ্ণ | আপডেট: নভেম্বর ১৪, ২০২৩, ১২:১৮ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

খুলনায় প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগদানের পথে মণিরামপুরে আওয়ামী লীগের দুগ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াসহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত: ১০ নেতাকর্মী আহত হয়। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ ঘটনায় প্রতিমন্ত্রী গ্রুপ এবং এস এম ইয়াকুব আলী গ্রুপ একে অপরকে দোষারোপ করেছেন। অন্যদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যরে ছেলে ও ভাগ্নেকে দোষারোপ করে উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পৌরশহরে সন্ধ্যায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও দলিয় সূত্রে জানাযায়, সোমবার খুলনায় প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগদানের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও জেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি এস এম ইয়াকুব আলীর নেতৃত্বে সকাল ১০ টার দিকে মণিরামপুর থেকে নেতাকর্মীরা বিশাল গাড়ির (শতাধিক) বহর নিয়ে রওনা হয়। পথিমধ্যে নাগোরঘোপ বাজারে রাস্তার পাশে এ গাড়ির বহর থামানো হয় স্থানীয় নেতাকর্মীদের নেওয়ার জন্য। পাশেই অবস্থান করছিলেন প্রতিমন্ত্রী গ্রুপের চারটি বাস। এ সময় পাশ দিয়ে একটি মাইক্রোবাসে করে যাচ্ছিলেন প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যরে ছেলে সুপ্রিয় ভট্টাচার্য্য শুভ ও ভাগ্নে উপজেলার যুবলীগের আহ্বায়ক ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চুসহ কয়েকজন।

মনোনয়ন প্রত্যাশী এস এম ইয়াকুব আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেনসহ অন্যান্যরা অভিযোগ করেন, পূর্ব পরিকল্পীতভাবে শুভ এবং বাচ্চুর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা তাদের গাড়ির বহর ছাড়তে বাঁধা প্রদান করেন। এ নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে দুগ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এস এম ইয়াকুব আলী, মিকাইল হোসেন, শামছুল হক মন্টুসহ অনেকেই অভিযোগ করেন প্রতিমন্ত্রীর ছেলে শুভ ও ভাগ্নে বাচ্চুর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা লাঠিসোটা, ইটপাটকেল, হকিষ্টিক, চাইনিজ কুড়াল নিয়ে তাদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে বেধড়ক মারপিট করে। এতে ইয়াকুব আলীর ভাগ্নে শাহরিয়ার কবিরের মাথা ফেটে যায়। এ ছাড়াও আহত হয় মামনুর রশিদ, প্রহ্লাদ, সাইফুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট সুব্রত ব্যানার্জী, লালুসহ অন্তত: ১০ জন। পরে পুলিশ যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। তবে প্রতিমন্ত্রীর ভাগ্নে যুবলীগ নেতা উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু জানান, ইয়াকুব আলীর গাড়ির বহরের পাশে তাদের চারটি বাস ছিল। কিন্তু ইয়াকুব আলীর লোকজন ওই চারটি বাস সেখান থেকে জোরপূর্বক বের করে দিচ্ছিলেন। এ সময় তারা প্রতিবাদ করেন মাত্র।

অন্যদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টচার্য্যরে ছেলে ও ভাগ্নেকে দোষারোপ করে উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সন্ধ্যায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করা হয়।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন, এসএম ইয়াকুব আলী, আওয়ামী লীগ নেতে মিকাইল হোসেন, সন্দীপ ঘোষ, শামছুল হক মন্টু প্রমুখ।

মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান জানান, পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে এ ব্যাপারে কেউ থানায় অভিযোগ করেননি।