Print

Rupantor Protidin

ফিলিস্তিনিদের পাশে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি

প্রকাশিত হয়েছে: অক্টোবর ৩১, ২০২৩ , ৪:৩৮ অপরাহ্ণ | আপডেট: অক্টোবর ৩১, ২০২৩, ৪:৩৮ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

গাজা উপত্যকায় বেসামরিক নাগরিকদের পাশে দাঁড়ালেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। তিনি গাজাবাসীর ওপর ইসরাইলের হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

অস্কার বিজয়ী এই অভিনেত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে বলেন, ইসরায়েলে যা ঘটেছে তা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। কিন্তু একারণে গাজার বেসামরিক জনসংখ্যার ওপর বোমাবর্ষণ ন্যায্যতা পায় না। গাজায় খাবার বা পানি নেই। যুদ্ধ বাড়লেও তাদের সরিয়ে নেয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। সেখানে মৌলিক মানবাধিকারও নেই। আশ্রয় নেয়ার জন্য সীমান্ত পার হতে হবে, সেটাও সম্ভব হচ্ছে না।

অ্যাঞ্জেলিনা বলেন, শিশুদের হত্যা করা হয়েছে এবং অনেক শিশু এখন এতিম হয়ে গেছে। অবিলম্বে আটককৃতদের মুক্তি দেয়া প্রয়োজন। প্রিয়জন হারানোর অকল্পনীয় যন্ত্রণা বহন করা পরিবারের জন্য প্রার্থনা করছি। সবচেয়ে ভালোভাবে কোনো সাহায্য করার চেষ্টা করছি ।

তিনি বলেছেন, ইসরাইলে যা ঘটেছে তা সন্ত্রাসীর কাজ। কিন্তু এর বিপরীতে গাজায় বোমাবর্ষণে বেসামরিক নিরীহ প্রাণ নেয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। তাদের (গাজাবাসী) কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই, খাবার বা পানীয় নেই, সরিয়ে নেয়ার সম্ভাবনা নেই, এমনকি আশ্রয় নেয়ার জন্য সীমান্ত অতিক্রম করার মৌলিক মানবাধিকারও নেই।

তিনি আরও বলেন, গাজায় কয়েকটি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় ভগ্নাংশ মাত্র। খাদ্য, জ্বালানি ও পানি বন্ধ করে দিয়ে তাদের জাতিগতভাবে শাস্তি দেয়া হচ্ছে। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি দাবি করছি। ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলিদের জীবন ও বিশ্বব্যাপী সকল মানুষের জীবন সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ৪৭টি মসজিদ এবং সাতটি গির্জা ধ্বংস হয়েছে। এ ছাড়া গত তিন সপ্তাহে গাজায় ২০৩টি স্কুল ও ৮০টি সরকারি অফিস ধ্বংস হয়েছে। সোমবার (৩০ অক্টোবর) গাজার জনসংযোগ দপ্তরের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।