Print

Rupantor Protidin

সাতক্ষীরায় নবলোক সমিতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশিত হয়েছে: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৫ , ৬:৫৪ অপরাহ্ণ | আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৫, ৬:৫৪ অপরাহ্ণ

রূপান্তর প্রতিদিন

সাতক্ষীরা নবলোক নামে এক বেসরকারী সংস্থা (এনজিওর )নামে প্রতারণা, ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে । বছর কয়েক ধরে শহরে প্রতিষ্ঠাটির যাত্রা শুরু করলে ও শুরু থেকেই  জড়িয়েছে নানা বিতর্কে। যেখানে ঘুষ বনিজ্য আর গ্রাহকদের সাথে প্রতারনা নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে ।শহরের প্রানকেন্দ্র পলাশপোল চৌধূরী পাড়ায় এ  সংস্থাটির অবস্থান । প্রশাসনের নাকের ডগায় নানা অপকর্ম করে থাকলেও যেন দেখার কেউ নেই । এদিকে সংক্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিরব ভুমিকায় হতাশাগ্রস্থ হচ্ছে গ্রাহকরা । এতে একদিকে যেমন প্রতারনা শিকার হচ্ছে গ্রাহকরা  অন্যদিক দেশের সুনাম ধন্য এনজি ও গুলোর প্রতি আস্থা হারাচ্ছ সাধারন মানুষ।
খোঁজ নিয়ে  জানা গেছে, নবলোকের কর্মীরা প্রথমে গ্রাহকদের মোটাংকের  লোন দেওয়ার আশ্বাস দেন। এরপর নতুন গ্রাহক ভর্তি করে কিছু টাকা হাতিয়ে নেয় । কিছুদিন পর লোন না পেয়ে  সেই টাকা ফেরত চাইলে ফান্ড নেই, লোন হবে না বলে নানা অযুহাত দেখানো হয় ।”
এরপর যদিও বা কোনো গ্রাহক লোন পায়, সেখানেও চলে ঘুষের কারবার। অভিযোগ অনুযায়ী—
৫০ হাজার টাকার লোনে ঘুষ লাগে আড়াই হাজার আর ১ লাখ টাকায় লাগে ৫ হাজার টাকা। এভাবে লোনের নামে সুদের ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে  নেওয়া হয় অর্থ ।সম্প্রতি  তাছলিমা খাতুন  নামে কর্মী কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ ফেটে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
লোন দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতানো, ঘুষ ছাড়া লোন না দেওয়া, আবার কিস্তিতে সামান্য দেরি হলে অকথ্য ভাষায় গালাগালি, মামলা ও অপহরণের হুমকি— সবই ঘটছে প্রশাসনের নাকের ডগায়।
‎কিভাবে চলে প্রতারণার গ্রাহকদের বর্ণনায় ভয়ের চিত্র
ভুক্তভোগী গ্রাহকদের মধ্যে প্রণব কুমার দাস বলেন
‎, তার  কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে এক মাস ঘোরালো সংস্থার  লোকজন । এরপর লোন না দিয়ে জামনতের টাকা নিয়ে নানা তালবাহানা শুরু করে। এক পর্যায়ে  স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের সহয়োগিতায় সেই টাকা আদায় করেন তিনি ।
আরেক গ্রাহক  কৃষ্ণ দাস বলেন , আমার কিস্তির টাকা দিতে সামান্য দেরি হলে  লোনকর্মী  তাছলিমা অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। এরপরে রাস্তায় ভ্যান আটকে অপমান করে। এমনকি স্বামী অ্যাডভোকেট পরিচয়ে মামলা করার ভয় দেখায় এবং অফিসে লোক নিয়ে তুলে নেওয়ার হুমকি দেয়।
স্থানীয়রা জানায় , এই অভিযোগ শুধু কয়েকজনের নয়। শহরের বহু গ্রাহক একই ধরনের হয়রানির শিকার হয়েছেন।
‎নবলোকের বিতর্কিত অতীত।
‎নবলোক সমিতি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এ সংগঠনটির বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠে এসেছে। তবে স্থানীয়ভাবে শক্তিশালী প্রভাব ও প্রশাসনের নীরবতায় এসব অভিযোগ বারবার চাপা পড়ে যায়।
তারা অভিযোগ করেন , এনজিওর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও সব জেনেও মুখ বুজে আছেন।
‎ অনেকে প্রশ্ন তুলছেন“প্রশাসন কেন নবলোকের ভয়ঙ্কর প্রতারণা থামাতে উদ্যোগ নিচ্ছে না? কাদের ছত্রছায়ায় তারা এতদিন ধরে মানুষকে ঠকাচ্ছে।
‎
‎নবলোকের দুর্নীতিবাজ কর্মী তাছলিমা খাতুনকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে নবলোক এনজিওর লোনকর্মী তাছলিমা খাতুনের  সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে মুঠোফোনের সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।
জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, সু-নিদৃষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত করে সংস্থাটির বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে ।