Print

Rupantor Protidin

শ্যামনগরে ৭০টি পূজামণ্ডপে দুর্গোৎসব, প্রতিমা নির্মাণে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা

প্রকাশিত হয়েছে: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৫ , ১২:৫৬ অপরাহ্ণ | আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৫, ১২:৫৬ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। ইতোমধ্যে দেবী দুর্গা ও কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় মৃৎশিল্পীরা।
এবার উপজেলায় মোট ৭০টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৬৪টি। এর মধ্যে শ্যামনগর পৌরসভায় ১৫টি, কাশিমাড়ি ইউনিয়নে ২টি, নূরনগরে ৩টি, কৈখালীতে ৫টি, রমজাননগরে ৭টি, মুন্সীগঞ্জে ১০টি, ঈশ্বরীপুরে ৪টি, বুড়িগোয়ালিনীতে ৯টি, আটুলিয়ায় ১১টি, পদ্মপুকুরে ২টি এবং গাবুরা ইউনিয়নে ২টি পূজামণ্ডপে দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে।
মৃৎশিল্পী বাবু পাল জানান, “প্রতি বছরের মতো এবারও বেশ কিছু প্রতিমার অর্ডার পেয়েছি। তবে কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তবুও পূর্বপুরুষদের এই শিল্প ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা করছি।”
অন্য এক মৃৎশিল্পী মনোরঞ্জন পাল বলেন, “প্রতিমা তৈরির কাজ অনেক ধৈর্য ও নিপুণতার। বিশেষ করে প্রতিমার মুখশ্রী ফুটিয়ে তোলা সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং। সময় মতো শেষ করতে রাত জেগেও কাজ করতে হয়।”
পূজা উদযাপন পরিষদ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, হিন্দু মহাজোটসহ স্থানীয় সংগঠনের নেতারা জানান, প্রতিটি পূজামণ্ডপে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবক দল সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। সিসি ক্যামেরা, মাইকিংসহ নিরাপত্তার নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
শ্যামনগর থানার ওসি হুমায়ুন কবির মোল্লা বলেন, “প্রতিটি মণ্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ, আনসার ও ভলান্টিয়ার বাহিনী মোতায়েন থাকবে। নিয়মিত টহলও জোরদার করা হবে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছাঃ রনী খাতুন জানান, “পূজা উপলক্ষে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ, যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখা এবং যেকোনো অপতৎপরতা ঠেকাতে প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।”
স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ইতোমধ্যে উৎসবের আমেজ শুরু হয়েছে। মণ্ডপ সাজানো, আলোকসজ্জা ও সাংস্কৃতিক আয়োজন নিয়েও চলছে জোর প্রস্তুতি।
পঞ্জিকা মতে, ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়ের মধ্য দিয়ে দেবীর আগমনী বার্তা শোনা যাবে। ২৭ সেপ্টেম্বর বোধন পূজার মাধ্যমে শুরু হবে আনুষ্ঠানিকতা। এরপর ২৮ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠী, ২৯ সেপ্টেম্বর মহাসপ্তমী, ৩০ সেপ্টেম্বর মহাঅষ্টমী, ১ অক্টোবর মহানবমী এবং ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা।