Print

Rupantor Protidin

বিসিবি নির্বাচন: আদালতের স্থগিতাদেশে জটিলতা বাড়ল

প্রকাশিত হয়েছে: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৫ , ১২:২০ অপরাহ্ণ | আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৫, ১২:২০ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

এশিয়া কাপে মাঠের লড়াইয়ের পাশাপাশি দেশের ক্রিকেট অঙ্গনে চলছে নির্বাচনী উত্তাপ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগ নিয়ে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। আগামী ৬ অক্টোবরের ভোটকে ঘিরে ইতিমধ্যেই আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে বিরোধ।

সোমবার জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠকদের আবেদনের পর বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল স্বাক্ষরিত চিঠির কার্যকারিতা হাইকোর্ট ১৫ দিনের জন্য স্থগিত করে। তবে সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ভিত্তিতে চেম্বার আদালত ওই আদেশ স্থগিত করে দেয়। ফলে অ্যাডহক কমিটি থেকে মনোনীত ৫৪ জন কাউন্সিলরের বৈধতা বহাল থাকে।

এতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) ও বিসিবির প্রস্তাব অনুযায়ী অ্যাডহক কমিটির মনোনয়ন কার্যকর হলো। অর্থাৎ সরকার মনোনীত কমিটির সদস্যদের ভোটের মাধ্যমেই বিভাগ থেকে ১০ জন পরিচালক নির্বাচন করা হবে।

এবারের নির্বাচনে দুটি প্রধান পক্ষ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। ক্লাব ক্যাটেগরির কাউন্সিলর হিসেবে মাঠে নামছেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল, যিনি বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অন্যদিকে আমিনুল ইসলাম বুলবুল নেতৃত্ব দিচ্ছেন এনএসসি সমর্থিত প্যানেলকে। দুজনই সভাপতি প্রার্থী।

তবে উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ তুলছে। তামিমের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা হয়েছে। অন্যদিকে বুলবুল শিবির থেকে পাল্টা অভিযোগ এসেছে, তামিমপন্থীরা ক্লাব কাউন্সিলরদের দখল নিতে অপহরণের মতো কাণ্ড ঘটাচ্ছেন।

এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যেই কাউন্সিলরশিপ ফরম জমার সময় শেষ করেছে এবং খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের প্রস্তুতি নিয়েছে। ৬ অক্টোবরই ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। নির্বাচন তিনটি ক্যাটেগরিতে হবে—জেলা ও বিভাগ, ক্লাব এবং বিশেষ কাউন্সিলর ক্যাটেগরি।

ক্রিকেটের মাঠের মতোই নির্বাচনী অঙ্গনেও চলছে উত্তেজনাপূর্ণ লড়াই। এখন সবার দৃষ্টি ৬ অক্টোবরের দিকে, যেদিন বোর্ড পরিচালনায় কারা আসবেন সেটিই নির্ধারিত হবে।