Print

Rupantor Protidin

জীবন দেব তবু ৭১ ও ২৪ রাজাকারদের হতে দেব না: ইশরাক

প্রকাশিত হয়েছে: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫ , ৩:৩৫ অপরাহ্ণ | আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫, ৩:৩৫ অপরাহ্ণ

রূপান্তর প্রতিদিন

পিআর (প্রতিনিধিত্বমূলক) নির্বাচনি পদ্ধতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেন। মঙ্গলবার মধ্যরাতে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এই পদ্ধতির মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়তে পারে।

ইশরাক লিখেছেন, একটি রাজনৈতিক দল এই মুহূর্তে কেন পিআরের জন্য মরিয়া হয়ে উঠতে পারে, অনেকের মতো সেটা আমারও প্রশ্ন? ১. যদি একটি দলের সম্ভাব্য ভোটের শতাংশ দেশের নিবন্ধিত মোট ভোটারের একটি নগণ্য অংশ হয়। তাহলে পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে দেশবিরোধী চক্রান্তকারী আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে নিজ মার্কায় আওয়ামী ভোট কাস্ট করে। ক্ষমতা দখল অথবা দেশের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে থাকতে পারে। ২. সংখ্যায় অতি নগণ্য হলেও বাংলাদেশের মাটিতে কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী (সশস্ত্র এবং তত্ত্বে বিশ্বাসী) রয়েছে। যাদের একটি বড় অংশকে সরাসরি ভারত পৃষ্ঠপোষণ ও আশ্রয় দেয়। এ ছাড়া ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত হতে চাওয়া সমর্থক গোষ্ঠীও তৈরি হয়েছে বিগত ১৭ বছরে। এরা যদি পিআর সিস্টেম ব্যবহার করে সংসদে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের যে কোনো অংশ আলাদা হয়ে যাওয়ার কথা বলে তাহলে সেটা কীভাবে ঠেকানো যাবে?

তিনি আরও লিখেছেন, এখন প্রথম ও দ্বিতীয় দুটি কারণেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এখানে প্রতিবেশী ভারত তার নিজস্ব বলয় তো বসাবেই, বিশ্বের অন্যান্য সুপার পাওয়ারগুলোও একই পদ্ধতি অবলম্বন করবে। আমি অতি সাধারণ মানুষ, আমার কাছে হিসাবটা সোজা। অতীতে যারা স্বাধীন বাংলাদেশ চায়নি এবং বর্তমানকালে যারা পতিত হয়েছে তারাও স্বাধীন বাংলাদেশ বিক্রি করেছে। দুইটা একই জিনিস। তাদের ক্ষমতা চাই, দেশ তাদের প্রভুদের। এখন পাকিস্তানপন্থি আর ভারতপন্থি দুইটাই মিল্লা গেছে।

শেষে ইশরাক হোসেন স্পষ্ট করে জানান, বাংলাদেশের জনগণ কোনো দালালদের কাছে রাজপথ ইজারা দেয় নাই। দেশবিরোধী কাজ যারা করবে, তাদের পিঠের চামড়া তুলে নেওয়া হবে। দেশের জন্যে জীবন দিয়ে দেব, তবু একাত্তর আর চব্বিশ, এই দুই প্রজাতির রাজাকারদের হতে বা অন্য যে কোনো দেশের দালালদের কাছে নত হবো না ইনশাআল্লাহ।