Print

Rupantor Protidin

হামাসকে ‘শেষবারের মতো সতর্ক’ করলেন ট্রাম্প

প্রকাশিত হয়েছে: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫ , ১০:৪৩ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫, ১০:৪৩ পূর্বাহ্ণ

Sheikh Kiron

ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে নিয়েছে বলে দাবি করে হামাসকে শেষবারের মতো সতর্কবার্তা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, গাজার জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে চুক্তি এখনই মেনে নিতে হবে।

সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘ইসরায়েল আমার শর্ত মেনে নিয়েছে। এখন হামাসেরও মেনে নেওয়ার সময় এসেছে। আমি এর আগে হামাসকে পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেছি। এটাই আমার শেষ সতর্কবার্তা।’

ট্রাম্পের এই মন্তব্যের কিছুক্ষণ পর হামাস এক বিবৃতিতে জানায়, তারা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে পাওয়া ‘কিছু প্রস্তাবের ভিত্তিতে যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসতে তাৎক্ষণিকভাবে প্রস্তুত।’

মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউজের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির একটি নতুন প্রস্তাব হামাসের কাছে পাঠিয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউজ প্রস্তাবটির বিস্তারিত প্রকাশ করেনি।

রোববার রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের কিছু খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। ভালো কিছু ঘটতে পারে। আমি মনে করি, খুব শিগগির গাজা নিয়ে একটি চুক্তি হতে যাচ্ছে।’

এর আগে গত মার্চ মাসেও ট্রাম্প হামাসকে একই ধরনের চূড়ান্ত আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, সব জীবিত জিম্মিকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে এবং নিহতদের দেহাবশেষ ফিরিয়ে দিতে হবে, না হলে ‘তোমাদের জন্য সব শেষ।’

ইসরায়েলের নাগরিক সংগঠন ‘হোস্টেজেস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম’ ট্রাম্পের সর্বশেষ হস্তক্ষেপকে ‘একটি সত্যিকারের অগ্রগতি’ হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে চালানো হামলায় মোট ২৫১ জনকে জিম্মি করেছিল হামাস। এর মধ্যে এখনও ৪৭ জন গাজায় আটক আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, এদের মধ্যে ২৫ জন নিহত হয়েছেন এবং তাদের দেহাবশেষ ফেরত চাইছে ইসরায়েল।

এদিকে ইসরায়েলের তীব্র আগ্রাসনে গাজার মানবিক পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। শনিবার শত শত মানুষ ইসরায়েলের রাস্তায় নেমে সরকারকে গাজা সিটি দখলের অভিযান বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের আশঙ্কা, ওই শহরেই জিম্মিদের রাখা হতে পারে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলায় ইসরায়েলের ১ হাজার ২১৯ জন নিহত হন। এর জবাবে ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৪ হাজার ৩৬৮ জন নিহত হয়েছেন বলে হামাসনিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে।