Print

Rupantor Protidin

বিদ্যালয়ে নরসুন্দর ডেকে ছাত্রদের চুল কেটে দিলেন প্রধান শিক্ষক

প্রকাশিত হয়েছে: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৫ , ১০:০৯ অপরাহ্ণ | আপডেট: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৫, ১০:০৯ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

যশোরের মনিরামপুরে ডুমুরখালি সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নরসুন্দর ডেকে কয়েকজন শিক্ষার্থীর চুল কেটে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। আজ বুধবার বিদ্যালয় চলাকালীন সময় ঘটনাটি ঘটেছে। এই নিয়ে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। অনেকে বিষয়টিকে পজেটিভ দেখছেন।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একজন নরসুন্দর বিদ্যালয় চত্বরে চেয়ারে বসিয়ে একজন ছাত্রের চুল কাটছেন। পাশে লাঠি হাতে একজন শিক্ষক চেয়ার পেতে বসে আছেন। তাদের ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন বিদ্যালয়ের একজন স্টাফসহ কয়েকজন ছাত্র।

তবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরের একাডেমিক সুপারভাইজার মাসুদ হোসেন বলছেন, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ।
ডুমুরখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সেলিম রেজা বলছেন, ছেলেদের বহুদিন ধরে চুল কেটে আসতে বলছি। তারা কথা শুনছে না। তাছাড়া অনেক গরিব ছাত্র রয়েছে। এজন্য বিদ্যালয়ে নরসুন্দর ডেকে বিভিন্ন শ্রেণির ১০ জন ছাত্রের চুল কেটে দেওয়া হয়েছে। একাজে নরসুন্দরকে ৫০০ টাকা পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত এই প্রধান শিক্ষক দাবি করেন, ছাত্ররা আনন্দের সাথে চুল কাটিয়েছে। তাদের বা অভিভাবকদের এই বিষয়ে কোন অভিযোগ নেই। এলাকাবাসী এতে খুশি।
যদিও এই বিষয়ে কোন ছাত্র বা তাদের অভিভাবকের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

বিদ্যালয়ের সভাপতি মাসুদ রানা বলেন, স্কুলের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী দরিদ্র পরিবারের। প্রধান শিক্ষক আমার সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। পরে স্থানীয় বাজারের নরসুন্দরকে ডেকে কয়েকজন ছাত্রের চুল কাটার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমি নরসুন্দরের পারিশ্রমিক ৫০০ টাকা পরিশোধ করেছি।
এদিকে বিদ্যালয় চত্বরে নরসুন্দর ডেকে ছাত্রদের চুল কেটে দেওয়ার ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর অনেকে তাতে কমেন্ট করেছেন।
এস এম তৌহিদুর রহমান লিখেছেন, ধন্যবাদ, শিক্ষাখাতে একটা মহৎ কাজ উপহার দেওয়ার জন্য।
আবু বক্কর সিদ্দিক লিখেছেন, সভাপতিসহ প্রতিষ্ঠানের সকলকে ধন্যবাদ জানাই।

আমির হোসেন লিখেছেন, কাজটা প্রশংসার দাবিদার। তবে অভিভাবকেরা কিভাবে নেবেন সেটা দেখার বিষয়।
বিদ্যালয়ে নরসুন্দর ডেকে ছাত্রদের চুল কেটে দেওয়ার বিষয়ে আবার কেউ কেউ বলছেন, প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে নরসুন্দর না ডেকে ছাত্রদের নরসুন্দরের দোকানে পাঠিয়ে চুল কাটার ব্যবস্থা করতে পারতেন। এজন্য প্রধান শিক্ষক বিপদে পড়তে পারেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরের একাডেমিক সুপারভাইজার মাসুদ হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ে নরসুন্দর ডেকে ছাত্রদের চুল কাটার বিষয়টি ছাত্ররা ভালভাবে নিলে কাজটা ভাল। আর জোর করে করালে তিনি ঠিক করেননি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে হবে