যশোরের অভয়নগরে গভীর রাতে ঘরের টিন কেটে ভেতরে ঢুকে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে অজ্ঞাত ব্যক্তি/ব্যক্তিরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী মারাত্মকভাবে আহত হয়ে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। ২ সেপ্টেম্বর দিবাগত মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে উপজেলার কাপাশহাটি গ্রামে নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত নারী উক্ত গ্রামের কাজী কামরুজ্জামানের বড় মেয়ে জেসমিন সুলতানা (৫০)।
জানা গেছে, রাত আনুমানিক ২ টার সময় কে বা কারা সহজে বাড়ির ভেতর ঢোকার জন্য বাথরুমের উপরের দুইটা টিন খুলে প্রবেশ করলে জেসমিন দেখে ফেলে। এ সময় টিন খোলা স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মুখ, গলা, বুকসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি আঘাত করে। এ সময় ফাঁস দিয়ে হত্যার জন্য ঘরের জানালায় গামছা দিয়ে ফাঁস বানানো হয়। ধ্বস্তাধ্বস্তির শব্দ অসুস্থ পঙ্গু পিতা কামরুজ্জামানের কানে গেলে তিনি ডাক চিৎকার দিয়ে ওঠেন। এ অবস্থায় হামলাকারী/হামলাকারীরা পালিয়ে গেলে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, জেসমিন সুলতানার মুখ গলা দিয়ে কয়েকটি স্থানে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে এবং ১৩টি স্থানে সেলাই দিতে হয়েছে, তবে রক্ত পড়া এখনো বন্ধ হয়নি।
নাম না প্রকাশ করা শর্তে স্থানীয় কয়েকজন বলেন, তালাকপ্রাপ্তা জেসমিন তার পিতা মাতাকে নিয়ে বাংলাদেশ বেতারের পশ্চিম পাশের ওয়ালের সাথে কিছুটা নির্জনে বসবাস করেন। উপার্জনক্ষম দুই ভাই থাকলেও তারা কেউ দেখাশোনা না করায় একমাত্র সেই ই পিতামাতা আশ্রয়স্থল হয়ে ওঠে। এ কারণে নানা বাড়ির সম্পত্তি সহ সে(জেসমিন) অতিরিক্ত সম্পত্তি পায় যেটা তার দুই ভাবী মেনে নিতে পারেনি। বিষয়টি নিয়ে দুই ভাবীর সাথে দ্বন্দ প্রকাশ্যে রুপ নেয়। এছাড়া পরিশ্রম করে ৪/৫টি গাভীর খামারি জেসমিনের সাথে কারো দ্বন্দ আছে কিনা আমাদের জানা নেই।
অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, ঘটনার বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।