Print

Rupantor Protidin

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মাদ (সা:)

প্রকাশিত হয়েছে: আগস্ট ৩১, ২০২৫ , ৫:০৭ অপরাহ্ণ | আপডেট: আগস্ট ৩১, ২০২৫, ৫:০৭ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

মানবসভ্যতার দীর্ঘ ইতিহাসে অসংখ্য মহামানবের আবির্ভাব ঘটেছে। তবে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হিসেবে সমগ্র বিশ্বের অখণ্ড স্বীকৃতি পেয়েছেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। তিনি ছিলেন বিশ্বমানবতার মুক্তির দূত, সত্য ও ন্যায়ের আলো দিয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন পৃথিবীকে আলোকিত করা এক অনন্য ব্যক্তিত্ব।ষষ্ঠ শতাব্দীতে যখন আরব সমাজ অজ্ঞতা, কুসংস্কার, মূর্তিপূজা, নারী নির্যাতন ও নৈতিক অবক্ষয়ে নিমজ্জিত ছিল, তখন মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে নবীজী (সা:) মানবতার দিশারী হয়ে আবির্ভূত হন। তিনি একদিকে যেমন তাওহীদ ও আল্লাহর একত্ববাদ প্রচার করেছেন, অন্যদিকে সামাজিক সংস্কার, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ার জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন।হযরত মুহাম্মদ (সা:) ছিলেন আদর্শ পিতা, স্বামী, রাষ্ট্রনায়ক, বিচারক এবং সর্বোপরি একজন মহান শিক্ষক। তাঁর জীবন ছিল মানবতার জন্য এক জীবন্ত দৃষ্টান্ত। মদিনায় ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি বিশ্ববাসীকে দেখিয়েছেন— কীভাবে ন্যায়, সমতা ও ভ্রাতৃত্বের ভিত্তিতে একটি কল্যাণকর সমাজ গড়ে তোলা যায়।চৌদ্দশত বছরেরও বেশি সময় আগে প্রদত্ত তাঁর শিক্ষা আজও সমান প্রাসঙ্গিক। দয়া, সহমর্মিতা, সততা, ন্যায়পরায়ণতা, পরোপকারিতা ও মানবসেবার যে মহান আদর্শ তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন, তা শুধু মুসলমানদের জন্য নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য চিরন্তন দিকনির্দেশনা হয়ে আছে।বিশ্বশান্তি, মানবকল্যাণ ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের একমাত্র পথ হলো হযরত মুহাম্মদ (সা:)-এর জীবনাদর্শ অনুসরণ করা। তিনি সত্যিই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, যাঁর শিক্ষা ও আদর্শ অমর হয়ে থাকবে যুগে যুগে।