রাজধানীর কাকরাইলে সংঘর্ষে গুরুতর আহত গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাত ১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবর রহমান মঞ্জু।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তারা জানান, নুরের মাথায় আঘাতজনিত কারণে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। বর্তমানে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক বলে উল্লেখ করে তারা জানান, নুর বেঁচে থাকবেন কিনা তা নিশ্চিত নয়।
রাশেদ খান অভিযোগ করে বলেন, “নূরের কিছু হলে এর দায়ভার সেনাপ্রধান ও প্রফেসর ইউনূসকে নিতে হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেনাপ্রধান, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টাকে পরিষ্কার বক্তব্য দিতে হবে। একই সময়ের মধ্যে হামলাকারীদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে, নতুবা যমুনা ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”
তিনি আরও দাবি করেন, “যেসব পুলিশ ও সেনা সদস্য হামলায় জড়িত ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।”
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবর রহমান মঞ্জু জানান, নুরকে নিয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “আগামীকাল দুপুর ২টায় গণ অধিকার পরিষদের কার্যালয়ে সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বান করা হবে। সেখানেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।”
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় পার্টি ও গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। পরে রাত সোয়া ৮টার দিকে একই স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা মুখোমুখি হলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
সংঘর্ষে নুরুল হক নুরসহ একাধিক নেতাকর্মী আহত হন। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে সঙ্গীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশসহ বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। রাত ৯টা পর্যন্ত টানা সংঘর্ষ চলে। এসময় গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সড়কে আগুন জ্বালান। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে।