ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পতনের পর গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতাসীন দল দেশের রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে বিদায় নেয়। শীর্ষ নেতৃত্ব বিদেশে পালিয়ে গেলেও থেমে থাকেনি তাদের কার্যক্রম। গোয়েন্দা প্রতিবেদন বলছে, বিদেশে অবস্থান করেও ক্ষমতায় ফেরার জন্য পরিকল্পনা চালাচ্ছে দলটির প্রভাবশালী নেতা ও সহযোগীরা।
বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও ভারতে একাধিক গোপন বৈঠকের মাধ্যমে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার নতুন নীলনকশা তৈরি করছে। বিদেশে অবস্থান করা শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী গোষ্ঠীও এসব বৈঠকে যুক্ত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
সূত্র দাবি করছে, কয়েক হাজার কোটি টাকার বিশাল অঙ্ক বরাদ্দ করা হয়েছে পাঁচটি প্রধান খাতে—
১) আন্তর্জাতিক লবিং ও বিদেশি প্রভাবশালী মহলকে ম্যানেজ করা,
২) নভেম্বর-ডিসেম্বরে দেশজুড়ে নাশকতা ছড়িয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপে ফেলা,
৩) প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীর কিছু অংশকে প্রভাবিত করা,
৪) আটক নেতাকর্মীদের জামিন কার্যক্রমে অর্থ খরচ করা,
৫) শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের দিয়ে আন্দোলন সংগঠিত করা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কিছু ব্যবসায়ী বিদেশ ভ্রমণের আড়ালে রাজনৈতিক বৈঠক করেছেন। মক্কা, মদিনা, দুবাই ও দিল্লিতে গোপন বৈঠকের মাধ্যমে চলতি মাসে নতুন চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এ বৈঠকগুলোতে রাজনৈতিক নেতাদের পাশাপাশি কিছু প্রভাবশালী আমলা ও প্রবাসী ব্যবসায়ীও উপস্থিত ছিলেন।
গোয়েন্দারা আশঙ্কা করছেন, এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে আগামী কয়েক মাসে দেশজুড়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।