ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই প্রার্থীদের জেতার সম্ভাবনা নিয়ে হিসাব-নিকাশ শুরু হয়েছে। প্রার্থীদের ব্যক্তিগত পরিচয় ও কাজ যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি এবার আঞ্চলিক কোরামও বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যেই অঞ্চল ও জেলাভিত্তিক সংগঠনগুলো নির্বাচনকে ঘিরে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে।
এবারের নির্বাচনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ বাদে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, বাম সংগঠনসহ স্বতন্ত্র মিলিয়ে মোট ৯টি প্যানেল গঠিত হয়েছে। এসব প্যানেলের শীর্ষ তিন পদে (ভিপি, জিএস ও এজিএস) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল তথা চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে।
অঞ্চলভিত্তিক প্রার্থীর সংখ্যা:
চট্টগ্রাম বিভাগ: ভিপি ৭, জিএস ৩, এজিএস ৩ → মোট ১৩ জন
উত্তরবঙ্গ (রাজশাহী-রংপুর): ভিপি, জিএস ও এজিএস—প্রতি পদে ১ জন → মোট ৩ জন
দক্ষিণবঙ্গ (খুলনা, বরিশাল, বৃহত্তর ফরিদপুর): ভিপি ১, জিএস ৪, এজিএস ৩ → মোট ৮ জন
সিলেট বিভাগ: এজিএস পদে ২ জন
ময়মনসিংহ: এজিএস পদে ১ জন
জেলা ভিত্তিতে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, খুলনা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুরসহ নানা জেলা থেকে একাধিক প্রার্থী মাঠে নেমেছেন। কেবল কুমিল্লা-১ আসন থেকে যেমন সবচেয়ে বেশি ৩৬২টি আবেদন পড়েছিল সীমানা নির্ধারণে, ডাকসু নির্বাচনে একইভাবে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লার শিক্ষার্থীদের আধিপত্য চোখে পড়ছে।
প্রতিটি প্যানেলেই বিভিন্ন জেলার শিক্ষার্থীরা প্রতিনিধিত্ব করছেন—ছাত্রদলের প্যানেল থেকে কুমিল্লা, খুলনা ও হবিগঞ্জের প্রার্থীরা; গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের প্যানেলে লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা ও খুলনা; বাম সংগঠনের প্রার্থীরা খুলনা, রাজবাড়ী, সুনামগঞ্জ থেকে; আবার ছাত্র অধিকার পরিষদ থেকে কুড়িগ্রাম, পটুয়াখালী ও চুয়াডাঙ্গার শিক্ষার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সর্বমোট ২৭ জন প্রার্থীর এই নির্বাচনী সমীকরণে আঞ্চলিক কোরাম যে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে উঠবে, তা এখন স্পষ্ট।