Print

Rupantor Protidin

সাংবাদিক সুরক্ষা আইন খসড়া চূড়ান্ত, সহিংসতা ও হয়রানিতে কঠোর শাস্তির প্রস্তাব

প্রকাশিত হয়েছে: আগস্ট ১৩, ২০২৫ , ১১:০৬ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: আগস্ট ১৩, ২০২৫, ১১:০৬ পূর্বাহ্ণ

Sheikh Kiron

সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও পেশাগত স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে, সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন বা হয়রানি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী দোষীদের জন্য এক থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ন্যূনতম এক লাখ টাকা জরিমানা, কিংবা উভয় শাস্তি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

তথ্যমন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, অংশীজনের মতামত নেওয়ার পর বিষয়টি অনুমোদনের জন্য উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।

খসড়ায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে— পেশাদার কোনো সাংবাদিকের বাসায় বলপ্রয়োগ করে প্রবেশ, তল্লাশি বা সম্পদ জব্দ করা যাবে না। এমনকি সরকারি কর্মকর্তা বা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জোরপূর্বক বা ভয়ভীতি দেখিয়ে তথ্যসূত্র প্রকাশে বাধ্য করতে পারবে না।

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সাংবাদিকরা প্রায়ই সহিংসতা ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এই প্রেক্ষাপটে কমিশন নিজ উদ্যোগে খসড়া আইন প্রণয়নের সুপারিশ করে, যা মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত করেছে।

সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২, ৩৯ ও ৪০-এ জীবনের নিরাপত্তা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং পেশা নির্বাচনের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। খসড়ায় বলা হয়েছে, এই অধিকার রক্ষায় সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকর পদক্ষেপ নেবে, যাতে কোনো নিবর্তনমূলক আইন সাংবাদিকদের পেশাগত স্বাধীনতা ব্যাহত না করে।

অধ্যাদেশে আরও বলা হয়েছে, জনস্বার্থে তথ্য সংগ্রহ বা প্রকাশের কারণে কোনো সাংবাদিক যাতে সহিংসতা, হুমকি বা হয়রানির শিকার না হন, তা নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা, পারিবারিক নিরাপত্তা ও সুনাম রক্ষায় বলপ্রয়োগ বা অবৈধ প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এছাড়া, খসড়ার ৫(১) ধারায় বলা হয়েছে— সাংবাদিকদের অনুকূল পরিবেশে ও চাপমুক্তভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। যৌন হয়রানিসহ যেকোনো ধরণের সহিংসতা থেকে সুরক্ষা প্রদানে সরকার ও কর্তৃপক্ষকে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে।

তবে, কোনো সাংবাদিক যদি মিথ্যা বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ দায়ের করেন, প্রমাণ হলে তার জন্য এক বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, কিংবা উভয় শাস্তির বিধানও রাখা হয়েছে।