Print

Rupantor Protidin

মালয়েশিয়ায় এজেন্ট চক্রের ফাঁদে ৩০৬ বাংলাদেশি, ‘ক্লিনার’ পারমিটে অবৈধ কারখানা কাজ!

প্রকাশিত হয়েছে: আগস্ট ৬, ২০২৫ , ৯:৪৮ অপরাহ্ণ | আপডেট: আগস্ট ৬, ২০২৫, ৯:৪৮ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

মালয়েশিয়ার সিমপাং আমপাতে পরিচালিত এক বিশেষ অভিযানে একটি ধূর্ত এজেন্ট চক্রের গোপন অপকর্ম ফাঁস করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ (JIM)। অভিযানে ধরা পড়া তথ্য অনুযায়ী, ওই চক্রটি ‘ক্লিনার’ ও ‘নির্মাণ শ্রমিক’ পেশার জন্য অনুমোদিত পারমিট ব্যবহার করে বিদেশি শ্রমিকদের অবৈধভাবে কারখানায় নিয়োগ দিচ্ছিল।

ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শা’বান জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হওয়া অভিযানে মোট ৭৪৯ জন বিদেশি শ্রমিককে যাচাই করা হয়, যাদের মধ্যে ৩০৭ জনকে অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৩০৬ জনই বাংলাদেশি এবং একজন নেপালি নাগরিক।

তদন্তে উঠে আসে, আটককৃতদের বেশিরভাগই অনুমোদিত পারমিট ব্যবহার করে ভিন্ন খাতে কর্মরত ছিলেন। এদের মধ্যে অনেকে পারমিটের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন, কেউ কেউ ছিলেন বৈধ পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকুমেন্ট ছাড়াই। সবচেয়ে বড় ধরনের অপব্যবহার ছিল ‘ক্লিনার’ পেশার অনুমতিপত্র নিয়ে কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করা।

এই সমন্বিত অভিযানে মালয়েশিয়ার জাতীয় নিবন্ধন বিভাগ (JPN), সেবেরাং পেরাই সিটি কাউন্সিল (MBSP), এবং কর্মস্থলের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য বিভাগ (JKKP) অংশ নেয়। অভিযানে আটক শ্রমিকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর জাউই ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে MalaysiaGazette-এর এক প্রতিবেদনে এক বাংলাদেশি শ্রমিক জানান, তিনি ২০২৩ সালে এক এজেন্টের মাধ্যমে প্রায় ২০,০০০ রিঙ্গিত (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩ লাখ টাকা) খরচ করে মালয়েশিয়ায় আসেন। তিনি বলেন, “আমার ভিসা ক্লিনারের জন্য, কিন্তু এজেন্ট বলেছে কারখানার কাজটাও এর মধ্যেই পড়ে।”

অভিযানটির মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় বিদেশি শ্রমিক নিয়োগে দুর্নীতিগ্রস্ত ও অবৈধ চক্রের কার্যক্রমের এক জ্বলন্ত চিত্র উঠে আসে।