খুলনার পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলার দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের একটি দল বুধবার (৬ আগস্ট) সকালে মিনহাজ নদী পরিদর্শনে যায়। সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ ইফতেখারুল ইসলাম শামীম-এর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি নদীর বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখে এবং ভুক্তভোগী স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে মতবিনিময় করে।
পরিদর্শনকালে দলটি নদীর পানিপ্রবাহ ব্যাহত হওয়ার পেছনে যেসব মূল সমস্যা রয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করে। এর মধ্যে রয়েছে খাল পুনঃখননের ঘাটতি, জরাজীর্ণ স্লুইচ গেটগুলোর অবস্থা এবং নদীর ওপর বিভিন্ন বাঁধ ও ব্যক্তি মালিকানায় বন্দোবস্তের ফলে প্রাকৃতিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়া।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গড়ইখালী, লস্কর, চাঁদখালী ও আমাদী—এই চারটি ইউনিয়নের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে বর্ষায় তীব্র জলাবদ্ধতার শিকার। সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে প্রতি বছরই এই সংকট আরও প্রকট হবে। বর্তমানে মিনহাজ নদী ছয় বছর মেয়াদি ইজারার আওতায় রয়েছে, পাশাপাশি এর কিছু অংশ ব্যক্তি মালিকানায় বন্দোবস্ত থাকায় সেখানে বাঁধ নির্মাণ করে পানি চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে।
সহকারী কমিশনার ইফতেখারুল ইসলাম শামীম বলেন, “শুধু ইজারাদারই নয়, নদীর কিছু অংশ ব্যক্তি মালিকানায় থাকায় সেগুলোর সামনে বাঁধ দিয়ে পানি আটকে রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি স্লুইচ গেটগুলোর সামনে পলি জমে থাকায় পানি বের হতে পারছে না। পুরনো গেটগুলোর ধারণক্ষমতা কম, যার কারণে জলাবদ্ধতা বেড়েই চলেছে।”
তিনি আরও বলেন, “যদি খাল পুনঃখনন, গেট সংস্কার ও লস্কর-চাঁদখালী অঞ্চলে গেট সচল রাখার ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তাহলে এই অঞ্চলের মানুষ দীর্ঘস্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে।”
পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন: উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একরামুল হোসেন, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সৈকত মল্লিক, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম কেরু, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম সানা, এসআই আহাদ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধি আবু তাহের গাজী, ইউপি সদস্য ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা।