ঝিনাইদহের মহেশপুরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে এক তরুণীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার। নিহত তরুণীর নাম সিমা খাতুন (২২), তিনি উপজেলার কাজিরবের গ্রামের বাসিন্দা আসাদুল ইসলামের মেয়ে।
রোববার (৩ আগস্ট) ভোররাতে নিজ বাড়িতে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে সিমার বিয়ে হয় একই উপজেলার দারিয়ারপুর গ্রামের বাসিন্দা মামুনের সঙ্গে। এক বছর আগে মামুন কাজের সন্ধানে পাড়ি জমান সৌদি আরবে। প্রায় ২০ দিন আগে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন সিমা।
সিমার বাবা আসাদুল ইসলাম জানান, শনিবার রাতের খাবার খেয়ে সিমা স্বাভাবিকভাবেই ঘুমাতে যান। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে না ওঠায় স্ত্রী সহিদা খাতুন মেয়েকে ডাকতে যান। অনেক ডাকাডাকির পরও কোনো সাড়া না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।
মর্মাহত মা সহিদা খাতুন বলেন,
“সিমা তো খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠে। আজও ডাকছিলাম, কিন্তু কোনো সাড়া দিচ্ছিল না। দরজা ভেঙে দেখি আমার মেয়ে ঝুলছে… আমি বুঝতেই পারছি না কেন এমন করলো।”
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম। তিনি জানান,
“খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই এবং থানা পুলিশকে জানাই। তবে আত্মহত্যার সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি।”
মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ বলেন,
“মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবার কোনো অভিযোগ না করায় প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে।”
ঘটনার পর পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। অনেকেই বলছেন, একেবারেই ধারণা করা যায়নি — এমন হাসিখুশি মেয়েটি এভাবে নিজেকে শেষ করে দেবে।