Print

Rupantor Protidin

আশাশুনিতে খাল খননে দুর্নীতি ও জলাবদ্ধতার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

প্রকাশিত হয়েছে: আগস্ট ২, ২০২৫ , ৮:০৫ অপরাহ্ণ | আপডেট: আগস্ট ২, ২০২৫, ৮:১১ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণ তেঁতুলিয়া ও মিত্র তেঁতুলিয়ার মাঝে অবস্থিত জ্বালাইয়ের খাল খননে দুর্নীতি ও অনিয়ম এবং গেটের খাল ইজারা নেওয়ার নামে পয়ঃ নিস্কাশনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির মাধ্যমে এলাকাকে জলাবদ্ধতার মুখে ফেলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। শনিবার সকালে গেটের কাছে তেঁতুলিয়া-কুল্যা সড়কে এ মানববন্ধন করা হয়।
কাদাকাটি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি তুহিন উল্লাহ তুহিন বক্তব্যকালে জানান, সরকারি বাজেটে ৬ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দে খাল খনন করা হলেও সামান্য কিছু কাজ করা হয়েছে। একদল দুস্কৃতকারী, দখলবাজ গত ১৭ বছর আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় লুটেপুটে খাওয়ার পর আজকে খাল দখল করছে। পিআইও এখনো খনন কাজ মাপজোক করেননি, অথচ তারা দখল শুরু করেছে। গেটের পাট বন্ধ করে রেখে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করছে। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান দিপঙ্কর সরকার এই দুর্নীতির সাথে কিছুটা জড়িত। আমরা জনস্বার্থে খাল অবমুক্ত রেখে এলাকাবাসীর কষ্ট লাঘব ও মাছ চাষ, ফসল উৎপাদন নিরাপদ করতে চাই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর মোড়ল বলেন, খাল খননে ব্যাপক দুর্নীতি করা হয়েছে। ১৬৩৫ ফুট লম্বা, ২২ ফুট আড়, ৭ ফুট গভীর, তলা ১০ ফুট খননের কথা থাকলেও লম্বায় ২৫০ ফুট কম, গভীরতা অর্ধেক কম ও তলা চওড়াও কয়েক ফুট কম করে খনন করা হয়েছে। কেটে রাখা মাটি দেখলেও বুঝা যাবে কতটুকু দুর্নীতি করা হয়েছে। আওয়ামীলীগের দোসররা গেটের মুখে নেটপাটা দিচ্ছে, গেটের পাট বন্ধ করে পানি সরতে দিচ্ছেনা।
প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বলেন, খননের জন্য ১৬ মে.টন গম বরাদ্দ ছিল। প্রথমে কোদাল দিয়ে মাটি খনন করা হয়। পত্রপত্রিকায় রিপোর্ট হলে ভোল পাল্টে ফেলেন চেয়ারম্যান। এখন আওয়ামীলীগের লোকজন দিয়ে গেটের পাট বন্ধ করে মাছ চাষের নামে এলাকা তলিয়ে দিচ্ছে।
স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক ইউনিয়ন সদস্য সচিব গাজী এমরান হোসেন বলেন, আওয়ামীলীগের সভাপতি চেয়ারম্যান দিপঙ্কর সরকার দীপ খনন কাজ করিয়েছেন। তিনি ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন। পিআইও ঠিকভাবে কাজ বুঝে নেননি। এখন আবার মূল খালে ও গেটের মুখে নেটপাটা দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ করা হচ্ছে। গেটের পাট বন্ধ করে ভাটার সময়ও পানি সরতে দিচ্ছেনা। আমরা ডিসি, ইউএনও মহোদয়ের সরজমিন তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানাচ্ছি।
উপস্থিত ভুক্তভোগি এলাকাবাসী জানান, আমাদের ঘরবাড়ি, পুকুর, মৎস্য ঘের, ফসল চাষ উপযোগি জমি পানিতে নিমজ্জিত। ধানের বীজতলা তৈরি করতে পারছিনা। অনেকে বীজধান ফেললেও পানিতে পচে গেছে। অথচ প্রকাশ্যে গেটের পাট বন্ধ করে পানি সরতে দিচ্ছেনা। আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সঠিক তদন্তপূর্বক স্থায়ী সমাধান আশা করছি।