Print

Rupantor Protidin

ইউএনওর সই জাল করে শিক্ষক নিয়োগ! হাতীবান্ধা কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত

প্রকাশিত হয়েছে: আগস্ট ২, ২০২৫ , ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: আগস্ট ২, ২০২৫, ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ

Sheikh Kiron

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা মডেল কলেজে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) স্বাক্ষর স্ক্যান করে ব্যবহার করার অভিযোগে বড় ধরনের বিতর্কে জড়িয়েছেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাছেন আলী। বিষয়টি সামনে আসার পর বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) উপজেলা প্রশাসন তাকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ প্রদান করে।

উল্লেখ্য, হাছেন আলী এক সময় স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর আমির পদে দায়িত্ব পালন করতেন। অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে দলীয় পদ থেকেও অব্যাহতি দেয় জামায়াতে ইসলামীর লালমনিরহাট জেলা শাখা।

সূত্র জানায়, কলেজটি এমপিওভুক্ত হওয়ার পর থেকে অধ্যক্ষ পদ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছিল। চারজন প্রার্থী নিজেদের যোগ্য দাবি করায় প্রতিষ্ঠানটিতে প্রশাসনিক অচলাবস্থা তৈরি হয় এবং শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকারের বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। এই প্রেক্ষাপটে চলতি বছরের ১৩ মে কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও হাতীবান্ধার ইউএনও শামীম মিঞা হাছেন আলীকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেন।

কিন্তু নিয়োগের পরপরই নতুন কিছু শিক্ষক-কর্মচারীর নামে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে ১৩টি ফাইল পাঠানো হয়। অভিযোগ উঠেছে, এসব ফাইলে ইউএনও শামীম মিঞার স্ক্যানকৃত স্বাক্ষর সংযুক্ত করে অনুমোদনের চেষ্টা করেন হাছেন আলী।

এ প্রসঙ্গে ইউএনও শামীম মিঞা বলেন, “আমি এসব ফাইলে সই করিনি। অনুমতি ছাড়াই আমার স্বাক্ষর স্ক্যান করে ব্যবহার করা হয়েছে, যা স্পষ্টতই জালিয়াতি।” তিনি আরও জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

অন্যদিকে অভিযুক্ত হাছেন আলীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে জেলা জামায়াতের আমির আবু তাহের নিশ্চিত করেছেন যে, তাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। যদিও তিনি কারণ ব্যাখ্যা করতে চাননি।