Print

Rupantor Protidin

সাবেক প্রেসিডেন্টের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প, রাশিয়ার কাছে মোতায়েন পারমাণবিক সাবমেরিন!

প্রকাশিত হয়েছে: আগস্ট ২, ২০২৫ , ১১:০৭ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: আগস্ট ২, ২০২৫, ১১:০৭ পূর্বাহ্ণ

Sheikh Kiron

রাশিয়ার স্নায়ুযুদ্ধ যুগের ভয়ঙ্কর পারমাণবিক অস্ত্রব্যবস্থাকে ঘিরে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভের সাম্প্রতিক মন্তব্য ঘিরে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মেদভেদেভের বক্তব্যকে তিনি আখ্যা দিয়েছেন “উসকানিমূলক” এবং তা “অনিচ্ছাকৃত পারমাণবিক বিপর্যয়ের” দ্বার উন্মুক্ত করতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে রাশিয়ার আশপাশে দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশ দেন ট্রাম্প।

বিষয়টি নিয়ে শনিবার এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি।

ট্রাম্প তাঁর নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ শুক্রবার এক পোস্টে জানান, মেদভেদেভের সাম্প্রতিক মন্তব্যের পর যুক্তরাষ্ট্র দুটি সাবমেরিনের অবস্থান পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাঁর ভাষায়, “উত্তেজনাপূর্ণ ও বোকামিপূর্ণ কথাবার্তার একটা মূল্য থাকে। এসব অনেক সময় বিশ্বকে অনিচ্ছাকৃত ধ্বংসের মুখেও ঠেলে দিতে পারে। আশা করি, এবার তেমন কিছু ঘটবে না।”

তবে সাবমেরিন দুটি ঠিক কোন এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য দেননি ট্রাম্প।

মেদভেদেভের ‘ডেড হ্যান্ড’ মন্তব্য নিয়ে তোলপাড়

রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ সম্প্রতি এক পোস্টে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “ট্রাম্পের বোঝা উচিত, ‘ডেড হ্যান্ড’ ঠিক কতটা ভয়ংকর হতে পারে।” এখানে তিনি রাশিয়ার স্নায়ুযুদ্ধকালীন পারমাণবিক প্রতিশোধমূলক অস্ত্রব্যবস্থার কথাই ইঙ্গিত করেন।

এই মন্তব্যের পর থেকেই ট্রাম্প ও মেদভেদেভ একে অপরের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় ধারালো কথার লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েন।

‘ডেড হ্যান্ড’ কী?

‘ডেড হ্যান্ড’ বা ‘পারিমিটার’ হচ্ছে সোভিয়েত ইউনিয়নের তৈরি এমন একটি স্বয়ংক্রিয় পারমাণবিক প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা, যা শত্রু পক্ষ প্রথম আঘাতে রাশিয়ার নেতৃত্ব ও সামরিক কমান্ড ধ্বংস করে দিলেও, নিজে থেকেই পাল্টা পারমাণবিক আঘাত হানতে সক্ষম। মূলত ১৯৮০ এর দশকে এই প্রযুক্তি চালু করা হয়।

ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া ও হুমকির ভাষা

মার্কিন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এক আলোচনায় ট্রাম্প বলেন, “রাশিয়ার পক্ষ থেকে এমন একটি হুমকি এসেছে, যেটিকে আমরা হালকাভাবে নেইনি। আমার দায়িত্ব দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, তাই প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি নিয়েছি।”

এদিকে এ বিষয়ে এখনো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বা তাঁর দপ্তর ক্রেমলিন আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেয়নি।