আশাশুনি উপজেলার প্রবীণ ও তুখোড় রাজনীতিক রফিকুল ইসলাম মোল্যা (৭৫) আর নেই। দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকা এই নেতার মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তিনি ছিলেন আশাশুনি সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মোল্যা পরিবারের একজন গর্বিত সন্তান। যৌবনকাল থেকেই তিনি সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে অংশ নিয়ে দেশ ও জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেন। মৃত্যুকালে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন এবং জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির মহাসচিব পদেও দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। মৎস্যজীবীদের উন্নয়ন ও অধিকার রক্ষায় তিনি আজীবন কাজ করে গেছেন।
বুধবার নিজ বাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় আশাশুনি হাফিজিয়া মাদ্রাসা মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় এবং পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় ইমামতি করেন মরহুমের ভাগ্নে মাওলানা সোলাইমান। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, সাত কন্যা, তিন পুত্রসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব রেখে গেছেন।
মরহুমের জানাজায় রাজনৈতিক দল নির্বিশেষে বহু নেতাকর্মী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতের আমীর আবু মুছা তারিকুজ্জামান তুষার, বিএনপি ও মৎস্যজীবী সমিতির নেতা খায়রুল আহসান, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, জাকির হোসেন প্রিন্স, ঢাকাস্থ আশাশুনি সমিতির সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম, মাওলানা আবুল কাশেম, প্রভাষক মাওলানা বাকী বিল্লাহ, জাতীয় পার্টির সেক্রেটারি ইয়াহিয়া ইকবাল প্রমুখ। রাজনীতির মাঠে দীর্ঘ সময় কাজ করে যাওয়া রফিকুল ইসলাম মোল্যার মৃত্যুতে আশাশুনির রাজনৈতিক অঙ্গনে সৃষ্টি হয়েছে এক অপূরণীয় শূন্যতা।