Print

Rupantor Protidin

একসঙ্গে বরখাস্ত ৫ পুলিশ কর্মকর্তা, আরও ৪ জনকে বাধ্যতামূলক অবসর

প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ৩১, ২০২৫ , ১২:২১ অপরাহ্ণ | আপডেট: জুলাই ৩১, ২০২৫, ১২:২১ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

পুলিশ বাহিনীর ভেতরে শৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে নির্যাতন, অভিযোগ জানাতে আসা সাধারণ মানুষকে মারধর, অধস্তন পুলিশ সদস্যের পারিবারিক জীবনে হস্তক্ষেপ এবং কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার মতো গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন।

বুধবার (৩০ জুলাই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে পৃথক পাঁচটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বরখাস্ত কর্মকর্তারা হলেন—রাজশাহীর সাবেক ডিআইজি আনিসুর রহমান, রংপুর মেট্রোপলিটনের সাবেক ডিসি মোহাম্মদ শিবলী কায়সার, র‍্যাবের অতিরিক্ত এসপি জুয়েল চাকমা, ডিএমপির সচিবালয় নিরাপত্তা বিভাগের সাবেক এডিসি (বর্তমানে এসপি পদে সুপার নিউমারারি) রাজীব দাস এবং বরিশাল আরআরএফের এএসপি আফজাল হোসেন।

এসপি শিবলী কায়সারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, একটি চাঁদাবাজির মামলায় অভিযোগ করতে আসা ব্যক্তিকে তিনি মারধর করেন। অন্যদিকে অতিরিক্ত এসপি জুয়েল চাকমা দুই বছর আগে মেডিকেল প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসকদের গ্রেপ্তারের পর নির্যাতন করেন এবং আদালতে হাজির করেননি বলে অভিযোগ ওঠে।

এএসপি আফজালের বিরুদ্ধে রয়েছে কনস্টেবলের স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক প্রস্তাব এবং সংসার ভাঙার প্রচেষ্টার অভিযোগ। এদিকে ডিআইজি আনিসুর রহমান ও এডিসি রাজীব দাসকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

ডিআইজি আনিসুর গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এবং রাজীব দাস ২ নভেম্বর ২০২৪ থেকে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত রয়েছেন। সাময়িক বরখাস্তের সময় তারা বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন।

এর আগে ২৮ জুলাই সরকার চারজন ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়। তাদের মধ্যে রয়েছেন—ডিআইজি আতিকা ইসলাম, মো. মাহবুব আলম, মো. মনির হোসেন ও এ কে এম নাহিদুল ইসলাম। সরকার জনস্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।

এছাড়া ২৭ জুলাই পুলিশের ১৯ জন কর্মকর্তাকে বদলি এবং একজনকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়। বদলিকৃতদের মধ্যে রয়েছেন ডিএমপির নতুন নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাসহ পুলিশ একাডেমি, সিআইডি, পিবিআই ও বিভিন্ন রেঞ্জের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসাররা।

এই সকল পদক্ষেপে স্পষ্ট, বাহিনীর অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে।