Print

Rupantor Protidin

গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি চালু হচ্ছে রাজধানীতে, পূর্বাচলে নির্মিত হবে স্থায়ী ক্যাম্পাস

প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ২৭, ২০২৫ , ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: জুলাই ২৭, ২০২৫, ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ

Sheikh Kiron

দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় নতুন সংযোজন হতে যাচ্ছে “গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি”। শিগগিরই এটি রাজধানীর দিয়াবাড়ীতে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ৪টি ফ্লোরে পাঠদান শুরু হলেও এর স্থায়ী ক্যাম্পাস গড়ে তোলা হবে পূর্বাচলে, যেখানে ইতোমধ্যে প্রায় ৭৬ বিঘা জমি কেনা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা এই প্রতিষ্ঠানটির কারিকুলাম ও পাঠ্যক্রম প্রস্তুত করা হয়েছে এবং জমা দেওয়া হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে। অনুমোদন মিললেই কোন কোন বিষয়ে পাঠদান শুরু হবে তা চূড়ান্ত হবে।

এর আগে, চলতি বছরের ১৭ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২২টি শর্ত সাপেক্ষে এই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমোদন দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মো. আশরাফুল হাসান। আর এর পেছনের মূল প্রবর্তক হচ্ছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ এবং সামাজিক ব্যবসার প্রবক্তা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁর প্রতিষ্ঠিত “গ্রামীণ ট্রাস্ট” এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়।

শর্ত অনুযায়ী, অস্থায়ী ক্যাম্পাসে কমপক্ষে ২৫ হাজার বর্গফুটের একটি ভবন, তিনটি অনুষদ এবং অন্তত ছয়টি বিভাগ থাকতে হবে। সেই সঙ্গে সংরক্ষিত তহবিলে দেড় কোটি টাকা জমা রাখাসহ আরও বেশ কিছু মানদণ্ড পূরণ করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হিসেবে থাকছে ‘তিন শূন্য লক্ষ্য’ — শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য কার্বন নিঃসরণ। শিক্ষার্থীদের শুধু চাকরিপ্রার্থী নয়, বরং চাকরিদাতা হিসেবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। কারিকুলামে থাকবে সামাজিক ব্যবসা, উদ্ভাবন এবং কমিউনিটি ভিত্তিক সমস্যা সমাধানের ওপর জোর।

প্রতিষ্ঠানটি জানায়, গ্রামীণ ইউনিভার্সিটিকে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে, যেখানে গড়ে উঠবে ভবিষ্যতের সামাজিক উদ্যোক্তা। এটি হবে একটি বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান, যেটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করবে একটি মানবিক, টেকসই ও পরিবেশবান্ধব অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পথে।

শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াও ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। খুব শিগগিরই জাতীয় দৈনিকগুলোতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। ইউজিসি অনুমোদিত বিষয়ে পাঠদান শুরু করে কার্যক্রমকে ধাপে ধাপে সম্প্রসারণ করা হবে বলে জানা গেছে।