ঢাকা, ২৪ জুলাই ২০২৫ — সরকারি চাকরি আইন-২০১৮-তে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনে দ্বিতীয় সংশোধিত অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। এই নতুন অধ্যাদেশ অনুযায়ী, যে কোনো সরকারি কর্মচারী আন্দোলনে জড়ালে বা অন্যকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখলে তার বিরুদ্ধে বাধ্যতামূলক অবসর অথবা চাকরিচ্যুতিসহ কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
বুধবার (২৪ জুলাই) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব হাফিজ আহমেদ চৌধুরীর স্বাক্ষরে এই অধ্যাদেশটি জারি করা হয়। এটি “সরকারি চাকরি (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫” নামে পরিচিত হবে।
বাসস সূত্র জানায়, এই অধ্যাদেশে আন্দোলন শব্দটি সরাসরি উল্লেখ না থাকলেও এর ধারা উপধারাগুলোতে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, তা স্পষ্টভাবে সরকারি কর্মচারীদের ধর্মঘট বা আন্দোলনকে নির্দেশ করে। আইনজীবীরা বলছেন, এটি একটি কৌশলগত ব্যাখ্যা, যার মাধ্যমে আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত থাকলেই কর্মচারীরা শাস্তির আওতায় আসবেন।
ধারা ৩৭ (গ) অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মচারী যদি অপর কর্মচারীকে কাজে বাধা দেন, তাহলে তা সরকারি কর্মকাণ্ডে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী “অসদাচরণ” হিসেবে গণ্য হবে।
উপ-ধারা (২) অনুসারে, এ ধরনের অসদাচরণের জন্য ৩ ধরনের শাস্তি হতে পারে:
(ক) পদ বা বেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ
(খ) বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান
(গ) চাকরিচ্যুতি
অধ্যাদেশে আরও বলা হয়েছে, সংসদ বর্তমানে ভেঙে যাওয়ায় রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৩ (১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে এটি জারি করেছেন। এতে বলা হয়, পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় তা অবিলম্বে কার্যকর হবে।