Print

Rupantor Protidin

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই আন্দোলনের মামলায় ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ

প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ২০, ২০২৫ , ৫:৩০ অপরাহ্ণ | আপডেট: জুলাই ২০, ২০২৫, ৫:৩০ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংক্রান্ত পৃথক সাতটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের ৪৫ সাবেক মন্ত্রী-নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত তিন মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

রবিবার (২০ জুলাই) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদেশ অনুযায়ী, আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। ট্রাইব্যুনালে তদন্ত সংস্থার পক্ষে সময় বাড়ানোর আবেদন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

এদিন সকালে আনিসুল হক, দীপু মনি, আমির হোসেন আমু, সালমান এফ রহমান, জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ৩৯ জন অভিযুক্তকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। বাকিদের মধ্যে রয়েছেন ফারুক খান, আব্দুর রাজ্জাক, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, কামরুল ইসলাম, সাবেক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলমসহ অনেকে।

এর আগে, গত বছর ১৭ ডিসেম্বর জুলাই-আগস্টের ঘটনায় দায়ের হওয়া দুটি মামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করেছিল ট্রাইব্যুনাল, যা পরে আরও দু’দফা বাড়ানো হয়।

এই মামলাগুলোতে অভিযোগ রয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানো, হত্যার পরিকল্পনা ও নির্দেশ দেওয়ার পেছনে এসব সাবেক নেতা ও মন্ত্রীদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।

এদিকে, মামলার অন্যতম আসামি সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা কোনো আদালতের অনুমতি ছাড়াই কারাগারে গিয়ে আমার কণ্ঠ রেকর্ড করেছেন।’

তবে এই অভিযোগ নাকচ করে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, তদন্ত সংস্থার সদস্যরা ট্রাইব্যুনালের আদেশ অনুসারে আইনগতভাবে ইনুর কণ্ঠ রেকর্ড করেছেন এবং তদন্তের প্রয়োজনে এ ধরনের কার্যক্রম বৈধ। তিনি আরও বলেন, “একজন আসামি বারবার আদালতে কথা বলে বিচার প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটাতে পারেন না, তার আইনজীবীর মাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।”

এ সময় ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বলেন, ন্যায়বিচারের স্বার্থে প্রয়োজনে আসামিদের স্বজনদেরও বক্তব্য শোনা হবে।