বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ছয় বছর অতিক্রান্ত হলেও বিচার প্রক্রিয়া এখনো সম্পূর্ণ হয়নি—এমনটাই অভিযোগ করেছেন তার বাবা বরকত উল্লাহ।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।
বরকত উল্লাহ বলেন, “২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে আমার ছেলেকে পৈশাচিক নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়। তার একমাত্র ‘অপরাধ’ ছিল, সে দেশের স্বার্থে কথা বলেছিল। ভারতীয় আধিপত্য ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এবং কিছু বিতর্কিত চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিল।”
তিনি আরও বলেন, “আজ ছয় বছর পেরিয়ে গেছে, কিন্তু আমি এখনো ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত। একজন পিতা হিসেবে আমি শুধু আমার ছেলের জন্য সুষ্ঠু বিচার চাই। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের ঘটনা থেমে নেই। এখন যখন একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসেছে, তখন এই অনৈতিকতা বন্ধ হবে না কেন?”
তিনি অভিযোগ করেন, “জুলাই ও আগস্টে যারা সহিংসতার শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের একটি তালিকা করা হয়েছে—এটা ভালো উদ্যোগ। কিন্তু ছাত্র রাজনীতির সহিংসতা ও র্যাগিংয়ের কারণে যারা প্রাণ হারিয়েছে, তাদের নাম সেই তালিকায় নেই। আমি চাই এসব মৃত্যুরও একটি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি থাকুক।”
তার কণ্ঠে ছিল দীর্ঘদিনের অসহায়ত্ব ও ক্ষোভ। তিনি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আবরার দেশের স্বার্থে কথা বলেছিল, সেটাই ছিল তার ‘অপরাধ’। আমি চাই, এই দেশের বিবেকবান মানুষরা আবরারের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করুক।