Print

Rupantor Protidin

ঢাকায় নিহত ৬২ জন! ১৯ জুলাইয়ের বিভীষিকাময় ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি!

প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ১৯, ২০২৫ , ১২:২৬ অপরাহ্ণ | আপডেট: জুলাই ১৯, ২০২৫, ১২:২৬ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অংশ হিসেবে ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই সারাদেশে দ্বিতীয় দিনের মতো পালিত হয় ‘কমপ্লিট শাটডাউন’। এই কর্মসূচিকে ঘিরে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা, সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ এবং দুঃখজনকভাবে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে।

বিশেষ করে ঢাকায় পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ নেয়। বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সেদিন অন্তত ৬৭ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে শুধু রাজধানীতেই প্রাণ হারিয়েছেন ৬২ জন। ঢাকার বাইরে রংপুর, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, মাদারীপুর, নরসিংদীসহ আরও কয়েকটি জেলায় প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়।

অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক কর্মীদের ওপর নির্বিচারে গুলি ছোড়া হয়। বিভিন্ন হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ মানুষের ভিড়ে চিকিৎসক ও নার্সরা হিমশিম খেয়েছেন। ঢাকার রামপুরা, মোহাম্মদপুর, বাড্ডা, উত্তরা, পল্টন ও প্রেসক্লাব এলাকায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এছাড়াও খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, মানিকগঞ্জ ও রংপুরেও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

রামপুরা থানা, পুলিশ ফাঁড়ি, বিআরটিএ কার্যালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ভবনসহ বেশ কিছু সরকারি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন ও সারা দেশে রাত ১২টা থেকে কারফিউ জারি করা হয়।

এদিন মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স্টেশনে ভাঙচুরের ঘটনায় মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। বন্ধ হয়ে যায় আন্তঃজেলা বাস চলাচল এবং বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও বাতিল হয়।

সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, আন্দোলনের আড়ালে সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলা ছড়ানো হয়েছে। র‌্যাব থেকে জানানো হয়, হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানোর অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’, বরং আকাশপথে তারা পর্যবেক্ষণ ও উদ্ধারকাজ চালিয়েছে।

অন্যদিকে, আন্দোলনের নেতারা জানান, তারা শুধুমাত্র কোটা সংস্কারের যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছেন এবং সরকারের সংলাপ প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে ৯ দফা দাবিতে কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।

এদিন ‘সন্তানের পাশে অভিভাবক’ ব্যানারে শাহবাগে মানববন্ধনে অংশ নেন অভিভাবকেরাও।