যশোর সদরের চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের বেলেরমাঠ থেকে গোবিলা গ্রাম পর্যন্ত মাত্র ১৬৮০ মিটার রাস্তা। অথচ এই অল্প দূরত্বের রাস্তার অভাবে কয়েক গ্রামের হাজারো মানুষ দীর্ঘদিন ধরে চরম ভোগান্তিতে দিন কাটাচ্ছে।
এটি স্থানীয় সংসদ সদস্যের বরাদ্দ থেকে এলজিইডির অধীনে পাকা সড়ক নির্মাণ প্রকল্প। ২০২৩ সালের জুন মাসে কাজের দায়িত্ব পান ঠিকাদার তপন আলী। কিন্তু কাজ শুরু করেও মাঝপথে ফেলে রেখেছেন তিনি। প্রায় দুই বছর কেটে গেলেও এখনো রাস্তার কাজ শেষ হয়নি। ঠিকাদার শুধু রাস্তা খুঁড়ে রেখেছেন—এরপর আর কোনো অগ্রগতি হয়নি।
এখন রাস্তার মাঝখানে হাঁটু সমান পানি জমে থাকে। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। বেলেরমাঠ, ভাগলপুর ও গোবিলা গ্রামের সাধারণ মানুষকে বাধ্য হয়ে চার কিলোমিটার ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে। চাষাবাদ, চিকিৎসা, শিক্ষা—সবক্ষেত্রেই চরম ভোগান্তি দেখা দিয়েছে।
এক কৃষক জানান, কাঁচা রাস্তা কেটে ফেলে রাখার কারণে তিনি ফসল মাঠ থেকে উঠাতে পারছেন না। রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে হয় বিকল্প পথ ধরে। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বই ও স্কুল ড্রেস নিয়ে কাদা মাড়িয়ে স্কুলে যেতে গিয়ে প্রতিদিন হুমকির মধ্যে পড়ে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রওশন বলেন, “আমরা এখন না পাচ্ছি পাকা রাস্তা, না পারছি আগের মতো চলাচল করতে। ঠিকাদার এসে কিছুদিন কাজ করার পর চলে গেছে। এরপর বহুবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।”
এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিম্নমানের বালু ব্যবহার করায় স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে ঠিকাদার কাজ বন্ধ করে দেন এবং ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ‘এই কাজ আমি আর করব না। পারলে আপনারাই করে দেখান।’
ঠিকাদার তপন আলীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার কোনো সাড়া মেলেনি।
স্থানীয় বাসিন্দারা অবিলম্বে রাস্তার কাজটি সম্পন্ন করতে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।