জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, গোপালগঞ্জে কোনো সংঘাত বা যুদ্ধের উদ্দেশ্যে নয়, বরং পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালন করতেই তারা সেখানে গিয়েছিলেন। তবে ভবিষ্যতে গোপালগঞ্জের প্রতিটি উপজেলায় কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগের দিন বুধবার এনসিপির কর্মসূচিকে ঘিরে ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে গোপালগঞ্জে চারজন নিহত হয়েছিলেন।
গোপালগঞ্জে অবস্থান পরিষ্কার করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের প্রতিটি জায়গার মতো গোপালগঞ্জেও আমাদের অঙ্গীকার রয়েছে। এখানকার মানুষদের প্রতি রাজনৈতিক বৈষম্য ও নিপীড়নের আমরা বিরোধী।”
তিনি অভিযোগ করেন, “মুজিববাদী সন্ত্রাসীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালায়, ঠিক যেমনটা জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে হয়েছিল।”
“আমরা কোনো সময় সংঘাত চাইনি, পথসভা করেছি শান্তিপূর্ণভাবে। যাওয়ার সময় সশস্ত্র হামলা চালানো হয় আমাদের উপর।”
নাহিদ আরও দাবি করেন, নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন জেলা থেকে এসে গোপালগঞ্জে জড়ো হয়েছিল। প্রশাসনের সহযোগিতায় তারা হামলা চালিয়েছে।
তিনি বলেন, “প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থার যথাযথ পদক্ষেপ না থাকায় এই সহিংসতা ঘটেছে। এর দায় সরকার ও প্রশাসনের।” তিনি সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচার দাবি করেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা শহীদের রক্তের শপথে অটল। গোপালগঞ্জে আবার যাবো, ঘরে ঘরে গণঅভ্যুত্থানের বার্তা পৌঁছে দেবো। গোপালগঞ্জ মুজিববাদীদের নয়, বাংলাদেশপন্থীদের হবে।”
তিনি আরও জানান, শহীদ বাবু মোল্লা ও রথীন বিশ্বাসের স্মৃতিকে ধরে রেখে, মকসুদপুর ও কোটালীপাড়ার মাটি রক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের এক ইঞ্চি মাটিও যেন মুজিববাদীদের দখলে না থাকে।”