Print

Rupantor Protidin

টেকনাফ বন্দর গুদামে থাকা ব্যবসায়ীদের রফতানি যোগ্য কোটি টাকার পণ্য নষ্ট

প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ১৩, ২০২৫ , ১:০০ অপরাহ্ণ | আপডেট: জুলাই ১৩, ২০২৫, ১:০০ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম টানা চার মাস ধরে বন্ধ থাকায় চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন শতাধিক ব্যবসায়ী। পাশাপাশি, জীবিকা হারিয়ে দেড় হাজার শ্রমিক পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

স্থলবন্দর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গোডাউনগুলো তালাবদ্ধ, মাঠজুড়ে ফাঁকা পরিবেশ আর নাফ নদীতে নেই কোনো ট্রলার বা জাহাজ। ব্যস্ততম এ বন্দরটি যেন পরিণত হয়েছে পরিত্যক্ত জায়গায়।

স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. উল্লাহ জানান, “রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মির অনুমতি না থাকায় মিয়ানমারের সঙ্গে রফতানি বন্ধ রয়েছে। ফলে বন্দরে মজুত থাকা আলু, সিমেন্টসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য নষ্ট হয়ে গেছে।”

ব্যবসায়ী মো. আবদুল্লাহ বলেন, “আমাদের ১৫টি ট্রাকভর্তি আলু ছিল। এখন সব নষ্ট হয়ে গেছে। কেউ কিছু জানায়নি, তাতে আমাদের কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।”

রাজস্ব আয় শূন্য, বেকার দেড় হাজার শ্রমিক

বন্দরের শ্রমিক সর্দার আলম জানান, “টেকনাফ স্থলবন্দরে প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক রয়েছে। গত ৪-৫ মাস ধরে কার্যক্রম বন্ধ থাকায় আমরা বেকার। আয় না থাকায় পরিবার নিয়ে দুর্বিষহ সময় পার করছি।”

টেকনাফ স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. সোহেল উদ্দিন বলেন,
“২০২২-২৩ অর্থবছরে বন্দর থেকে ৬৪০ কোটি টাকা, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪০৪ কোটি টাকা, এবং চলতি অর্থবছরে ১১০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। তবে গত চার মাসে রাজস্ব শূন্য। আমরাও আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধের কারণ জানি না।”

সমস্যার দ্রুত সমাধানে আহ্বান

কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবু মোর্শেদ খোকা বলেন, “সীমান্ত বাণিজ্য সচল রাখার জন্য সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। আলোচনার মাধ্যমে বাণিজ্যিক সমস্যার সমাধান করতে হবে, নয়তো ক্ষতির মাত্রা আরও বাড়বে।”

উল্লেখ্য, চোরাচালান রোধ ও বৈধ বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে সীমান্ত বাণিজ্য চালু হয়। তবে বর্তমানে তা চরম স্থবিরতার মুখে।