যশোরে এনসিপির পথসভায় নাহিদ ইসলাম
দেশে শিগগির আরেকটি গণ-আন্দোলন গড়ে উঠতে যাচ্ছে বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘লিখে রাখেন, এই আন্দোলন হবে দুর্নীতিবাজ-চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে। আমরা যেভাবে জুলাই আন্দোলনে জিতেছি, ওই আন্দোলনেও জিতব।’
এনসিপিকে কেউ কেউ ‘নির্বাচনবিরোধী’ ট্যাগ দিতে চাইছেন উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, ‘পতিত ফ্যাস্টিস্টের বিচার চাই, সংস্কার চাই, নির্বাচন চাই। বিচার, সংস্কার ছাড়া এদেশের মানুষ নির্বাচন মানবে না। যারা বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচন চায়, তারাই নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।’
আজ শুক্রবার দুপুরে যশোর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মোড়ে আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে সমবেত জনতার উদ্দেশে নাহিদ বলেন, ‘দুর্নীতিবাজ-চাঁদাবাজদের কারণে সংস্কার পদে পদে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা চাঁদাবাজ-দুর্নীতিবাজদের ভয় পাই না। আপনারাও ভয় পাবেন না।
নাহিদ ইসলাম একটি দলের উদ্দেশে বলেছেন, তাদের নাকি কোটি কোটি মানুষ আছে। এই কোটি কোটি মানুষের হিসাব দেখিয়েন না। আমরা জুলাই আন্দোলনে দেখেছি কাদের কত শক্তি। ইনসাফের পক্ষে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়ালে কোটি কোটি মানুষ দরকার হয় না, একজনই যথেষ্ট।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এ যাবৎ যারাই রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছেন, তারাই প্রতিষ্ঠানগুলো দলীয়করণ করেছেন। হাসিনা ১৬ বছরে সম্পূর্ণ দলীয়করণ করেছেন। এবার আর আমরা প্রতিষ্ঠানগুলো দলীয়করণ করতে দেব না। পুলিশ জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে। সেনাবাহিনী দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাজ করবে। তারা কোনোভাবে গুমের সঙ্গে জড়িত হোকÑতা চাই না।’
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি দলীয়করণ হয়েছে নির্বাচন কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশনে। এই দুই কমিশনে অবশ্যই নিরপেক্ষভাবে নিয়োগ দিতে হবে। সেনা, পুলিশ, নির্বাচন কমিশন, দুদক ঠিক না হলে দেশ অন্ধকারে চলে যাবে। আমরা তা হতে দেব না।’
‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার রাতে এনসিপি নেতারা নড়াইল থেকে যশোর আসেন। শুক্রবার সকালে তারা স্থানীয় একটি হোটেলের কনফারেন্স রুমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। বেলা আড়াইটায় তারা জেলা এনসিপি আয়োজিত পথসভায় যোগ দেন।
পথসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন- সদস্যসচিব আকতার হোসেন মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণ) হাসনাত আব্দুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. মাহমুদা রিকু, মো. আতাউল্লাহ, সাকিব শাহরিয়ার, খালেদ সাইফুল্লাহ জুয়েল, ইয়াহিয়া জিসান ও সালমান জাভেদ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তর) সারজিস আলম। উপস্থিত ছিলেন মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটোয়ারী, ডা. তাসনিম জারা প্রমুখ।