Print

Rupantor Protidin

ছাত্রদলের ‘বড় ভাই’ এর নামে চাঁদা দাবি, দোকানিকে হুমকি!

ইবিতে ছাত্রদলের দুই নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ

প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ৫, ২০২৫ , ৭:১৬ অপরাহ্ণ | আপডেট: জুলাই ৫, ২০২৫, ৭:১৬ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রদলের দুই নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৫ জুলাই) দুপুর একটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনসংলগ্ন আব্দুল আহাদের দোকানে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্তরা হলেন— ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ও ইংরেজি বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী উল্লাস মাহমুদ, এবং শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন।
তারা উভয়েই ইবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।

ভুক্তভোগী দোকানি আব্দুল আহাদ বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান।

লিখিত অভিযোগে আহাদ বলেন, “আমি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছি। কয়েকদিন আগে উল্লাস মাহমুদ আমাকে দোকান বন্ধ করতে বলেন। তার কথামতো দোকান বন্ধ না করায় শনিবার দুপুরে উল্লাস ও সাব্বির দোকানে এসে চাঁদা দাবি করে এবং টাকা না দিলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।”

আহাদের ভাষ্য অনুযায়ী, অভিযুক্তরা তাকে বলেন,

“তোমাকে আগেও বলেছিলাম, আবার বলছি— কিছু টাকাপয়সা দিতে হবে। বড় ভাই আসবেন, তাকে দিবা। তোমার কোনো সমস্যা হলে আমরা দেখবো। আজ শনিবার, বুধবারের মধ্যে যেন টাকা দাও।”

আহাদ বলেন, “আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে বৈধভাবে দোকান চালাচ্ছি। তবুও এ ধরনের হুমকি পাওয়ায় আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি এবং বিচার দাবি করছি।”

অভিযোগের বিষয়ে সাব্বির হোসেন বলেন, “আমি আহাদের দোকানে যাইনি। ক্যাম্পাসে গিয়ে অন্য দোকান থেকে চা খেয়ে ঝিনাইদহ চলে গেছি।”

উল্লাস মাহমুদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি ক্যাম্পাসে গিয়েছিলাম, কিন্তু কোনো দোকানে যাইনি। অভিযোগটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।”

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, “আমি উভয়ের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা এসব কিছু জানে না বলেছে। ছাত্রদল করে কেউ যদি এমন কাজ করে, সাংগঠনিকভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”

প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, “অভিযোগ অফিসে জমা পড়েছে, তবে অফিস টাইম শেষ হয়ে যাওয়ায় এখনও খতিয়ে দেখা হয়নি। সোমবার অফিস চলাকালে বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে।