Print

Rupantor Protidin

উত্তরার অবৈধ ফার্নিচার মার্কেটের আয় যায় কার পকেটে

প্রকাশিত হয়েছে: জুন ২৫, ২০২৫ , ৭:২২ অপরাহ্ণ | আপডেট: জুন ২৫, ২০২৫, ৭:২২ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

অবৈধ ফার্নিচার

রাজধানীর উত্তরার সোনারগাঁও জনপথ সড়কের পাশে উত্তরা ১১ ও ১৩ নম্বর সেক্টরের আওতায় রাজউকের ৩২টি প্লটের বিভিন্ন অবৈধ দখল ও সরকারি জমিতে গড়ে তোলা মার্কেটের দোকান ভাড়া দিয়ে অবৈধ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। বিগত আওয়ামী লীগের কিছু সুবিধা ভোগী নেতাকর্মীরা বিএনপির কিছু অসৎ নেতা কর্মিদের সাথে নিয়ে এমন কার্যকলাপ পরিচালনা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
উত্তরা আবাসিক এলাকার সোনারগাঁও জনপথ সড়কের উভয় পাশে ১৩ ও ১১ নম্বর সেক্টরে মোট ৩০টি প্লটের মধ্যে কয়েকটির কিস্তি পরিশোধের ব্যর্থতায় বরাদ্দ বাতিল হয়েছে। কয়েকটি বরাদ্দ দেওয়া হয়নি এবং কয়েকটির মালিকানা নিয়ে মামলা চলছে। কিছু প্লট খালি রয়েছে। এসব প্লটে অবৈধ রেস্টুরেন্ট, দোকানপাট, ট্রাকস্ট্যান্ড, কাভার্ডভ্যান স্ট্যান্ড, রেন্ট-এ-কারের দোকান, অবৈধ ফার্নিচার মার্কেট গড়ে উঠেছে। মাঝেমধ্যে রাজউক উচ্ছেদ অভিযান চালালেও কিছুদিনের মধ্যেই পুনরায় তা দখল করেন অবৈধ দখলদাররা।
এ বিষয়ে রাজউক উত্তরা আঞ্চলিক অফিসের উপ-পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) এর সাথে কথা বলে জানা যায় রাজউকের সাধারণ সভায় এরূপ অবৈধ দখলকৃত প্লটসমূহ নিলাম বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিক্রয় করার জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত পরবর্তী কার্যক্রম রাজউক অফিসে চলমান রয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানা যায়, রাজধানীর উত্তরার সোনারগাঁও জনপথ সড়কের পাশেই রাজউকের ৩১ থেকে ৩২টি প্লট। এসব প্লটের কাগজে-কলমে মালিকানা এখনো সরকারি সংস্থাটির। তবে সেখানে গড়ে উঠেছে মার্কেট। উত্তরা সোনারগাঁ জনপথ সড়কের দুপাশ ১১ ও ১৩ নম্বর সেক্টরের আওতায়। জমজম টাওয়ারের পর থেকে দুই পাশেই ফুটপাত সংলগ্ন রাজউকের জায়গায় টিনশেড মার্কেট গড়ে উঠেছে।
এ মার্কেটে রয়েছে প্রায় ৩০০টি দোকান। এরমধ্যে ২৬০টি ফার্নিচারের দোকান। বাকিগুলোর মধ্যে রয়েছে রেস্টুরেন্ট, গাড়ির গ্যারেজ, বেডিং তৈরির দোকানসহ কাঁচাবাজার। জমজম টাওয়ারের পাশ থেকে ময়লার মোড় পর্যন্ত প্রায় সাত-আটশ মিটার জায়গায় অবৈধভাবে এসব স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে।
এসব দোকান থেকে থেকে মাসিক ভাড়া উঠছে প্রায় অর্ধকোটি টাকা। ভাগ-বাটোয়ারাও হয় একাধিক পর্যায়ে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানাযায় রাজউকের কর্মকর্তা পাচ্ছেন এ টাকার ভাগ। মাস শেষ না হতেই ভাগের টাকা পৌঁছে যায় তাদের কাছে। সরকারি জমি নিজেদের কবজায় রাখতে কিছু প্লটের ক্ষেত্রে ঠুকে রাখা হয়েছে নানা মামলা।
অভিযোগ রয়েছে, এই অবৈধ স্থাপনার দখলে রয়েছে বর্তমানের জনপ্রিয় দল বিএনপির কিছু নেতাকর্মী । প্লট রাজউকের হলেও ভাড়ার চুক্তি করেন তারা। নিজেরাই বুঝিয়ে দেন দোকানদারদের। রাজউকের প্লটের উপর স্থাপনা নির্মাণ, ভাড়া আদায় ও টাকার ভাগ-বাটোয়ারার বিষয়ে সমঝোতা চুক্তিপত্রও দেওয়া হয়েছে।