ফুফা, ফুফু ও ফুফাতো ভাই পুলিশ হেফাজতে!
জেলার ঝিকরগাছায় ৫ম শ্রেণি পড়ুয়া এক মাদ্রাসা ছাত্রীর অস্বাভাবিক ও রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। রবিবার ভোরের দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত সোহানা (১১) বায়সা চাঁদপুর দাখিল মাদরাসার ৫ম শ্রেণির ছাত্রী এবং নাভারন ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের আব্দুল জলিল ও লাকী বেগমের কন্যা।
রবিবার (৮ জুন) ভোর ৬ টায় তার লাশ বায়সা মানিকালি গ্রামের বাল্লক ঢালীর পুত্র মোঃ তোফাজ্জেল ঢালীর মাছ চাষের পুকুরের কিনারায় পাওয়া যায়।
লাশ উদ্ধারের সময় সোহানার মুখে রক্তের দাগ দেখতে পাওয়া যায়। এ থেকে এলাকাবাসীর আশঙ্কা তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে তার লাশ পুকুরে ফেলে দেয়া হতে পারে।
নাভারন সার্কেল সিনিয়র এএসপি নিশাত আল নাহিয়ান বলেন, এই বিষয়ে পুলিশ তদন্ত কাজ পরিচালনা করছে। যেহেতু আমাদের সন্দেহ আছে তাই লাশের পোস্ট মর্টেম করা হয়েছে। রিপোর্ট পাবার পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কারো কাছে কোনো তথ্য বা সন্দেহ থাকলে তিনি সরাসরি পুলিশকে দিতে অনুরোধ জানান।
সোহানা হত্যার মোটিভ এবং হত্যাকারীকে খুঁজতে পুলিশ জোর তৎপরতা চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েকজনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহভাজন সোহানার ফুফা ইলিয়াস, তার ফুফু ফাতেমা, ১৬ বছর বয়সী ফুফাতো ভাই নয়নসহ কয়েকজনকে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (৭ জুন) ঈদের নামাজের শেষে সোহানা তার বাড়ি থেকে ১ কি.মি দূরে হাড়িয়া গ্রামে ইলিয়াসের স্ত্রী নিহত সোহানার ফুফু মোছাঃ ফাতেমার বাড়িতে বেড়াতে যায়।
সেখানে তার ফুফাতো বোন তন্বী (১৩) এর সাথে কথা বলে এবং গরম লাগছে বলে তার নিজের কাপড় খুলে ফুফাতো বোন তন্বীর ব্যবহৃত কাপড় পরে বাইরে বের হয়।
এরপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। দিন ও রাত খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ভোরে তার ফুফু পুকুরে ভাসমান অবস্থায় লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার করে আশেপাশের লোকজনকে ডাকলে তারা এসে মেয়েটিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে নিজ বাড়ির উঠানে রাখেন।