Print

Rupantor Protidin

এবারো ডিজিটাল লটারিতে সরকারি স্কুলে ভর্তি

প্রকাশিত হয়েছে: অক্টোবর ২৩, ২০২৩ , ৯:০৯ অপরাহ্ণ | আপডেট: অক্টোবর ২৩, ২০২৩, ৯:১০ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রোববার প্রকাশিত এ নীতিমালায় বলা হয়েছে- এ বছরও আগের মতোই ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এন্ট্রি বা প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত যে কোনো শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের পরীক্ষা নেওয়া যাবে না।

কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানের তারিখ ও সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ নির্ধারণ করবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করবে। শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী, প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীর বয়স ৬ বছরের বেশি ধরে শ্রেণি অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে বয়স নির্ধারণ করতে হবে।

একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয়ে ভর্তির পছন্দক্রম দিতে পারবে। একই বিদ্যালয়ের দুটি শিফট পছন্দক্রমে রাখলে সেটি দুটি পছন্দক্রম হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রতি শ্রেণি শাখায় ৫৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হবে। আসন শূন্য থাকলে পরবর্তী অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে বলা হয়েছে নীতিমালায়।

প্রতি শ্রেণিতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য ২ শতাংশ, প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর ভাই-বোনের জন্য ৫ শতাংশ, বিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০ শতাংশ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ ও এর অধীন দপ্তর বা সংস্থায় কর্মরতদের সন্তানদের জন্য মহানগর, বিভাগীয় ও জেলা সদরের বিদ্যালয়ে ২ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। এছাড়া ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে।

নীতিমালা অনুযায়ী, সংরক্ষিত আসনে আবেদনকারী বেশি হলে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে হবে। ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানের আগে নির্বাচিত কারিগরি প্রতিষ্ঠানের প্রস্তুত করা সফটওয়্যারের যথার্থতা সরকার স্বীকৃত অন্য একটি কারিগরি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যাচাই করতে হবে এবং এ সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র সংরক্ষণ করতে হবে।

লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীর তালিকা তৈরির পাশাপাশি শূন্য আসনের সমান সংখ্যক অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীর তালিকা তৈরি করতে হবে। ভর্তি কমিটির নির্ধারিত তারিখে নির্বাচিত শিক্ষার্থী ভর্তি না হলে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ক্রমানুসারে ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

প্রকাশিত অপেক্ষমাণ তালিকার ক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে। শিক্ষাবর্ষের কোনো সময়ে আসন শূন্য হলে প্রকাশিত অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ক্রমানুসারে ভর্তি করে আসন পূরণ করতে হবে।

যৌক্তিক কোনো কারণে সরকারি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় অনলাইন ভর্তি কার্যক্রমের সঙ্গে সংযুক্ত হতে না পারলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল লটারি প্রক্রিয়ায় ভর্তি কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে। তবে সেক্ষেত্রে ডিজিটাল লটারির দিন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।