যশোরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধর ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে সিদ্দিকুর রহমান নামে একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। আসামি পুলিশ কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান সাতক্ষীরার তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামের সরদার আবু ইউসুফের ছেলে। বর্তমানে তিনি রাজশাহীর সারদা পুলিশ অ্যাকাডেমিতে কর্মরত।
সোমবার স্ত্রী লাভলী আক্তার লাকী মামলাটি করেছেন। তিনি অভয়নগরের নওয়াপাড়ার মৃত আনোয়ার হোসেন ফারাজীর মেয়ে। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শান্তনু কুমার মন্ডল অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামির প্রতি সমন ইস্যুর আদেশ দিয়েছেন।
লাভলী আক্তার লাকীর অভিযোগ, চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পারিবারিকভাবে সিদ্দিকুর রহমানের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে দশ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে লাভলী আক্তার লাকীকে নির্যাতন শুরু করেন তার স্বামী। বাধ্য হয়ে পাঁচ লাখ টাকা ধার করে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি স্বামীকে দেন লাভলী আক্তার লাকী। বাকী পাঁচ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে ফের তাকে প্রচণ্ড মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন সিদ্দিকুর রহমান। এক পর্যায়ে গত ১৪ মার্চ স্ত্রীকে পিতার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন সিদ্দিকুর রহমান।
গত ২৯ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে অভয়নগরে লোকের মাধ্যমে অভয়নগরের রাজঘাটে লাভলী আক্তার লাকী ও তার মা সাফিয়া খানমকে ডাকা হয়। সেখানে তিনি ফের টাকা দাবি করেন। লাকী টাকা না দেওয়ার কথা বলতেই তাকে গলাটিপে হত্যার চেষ্টার চালান সিদ্দিকুর রহমান। তখন স্থানীয় লোকজন সেখানে জড়ো হয়ে গেলে মোটরসাইকেলে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তিনি।