চাকরি না করায় এডিট করা ছবি দিয়ে ব্লাক মেইলের অভিযোগে যশোর আদালতে পর্ণগ্রাফি আইনে মামলা হয়েছে।
অভিযোগ করা হয়েছে, প্রভিডেন্ট ফান্ডের প্রায় ছয় লাখ টাকা আত্মসাৎ করতেই এ ধরনের কর্মকান্ডে নেমেছেন আসামিরা।
আজ রবিবার মামলাটি করেছেন যশোর শহরের মণিহার ব্যাটারি পট্টির বাসিন্দা নজরুল ইসলাম। আসামি নড়াইল সদর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও যাত্রাবাড়ি এলাকার বেটা সলিউশন কোম্পানির মালিক আছাদুল্লাহ।
বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রহমত আলী মামলাটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বিশেষ পুলিশ সুপার (সিআইডি) যশোরকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদী মামলায় বলেছেন, আসামি বাদীর বড় ভাইয়ের শ্যালক। ২০০৯ সালের ৬ জুন থেকে আসামির কোম্পানিতে বাদীকে মাসিক বেতনে চাকরি করছিলেন। দীর্ঘ ১৬ বছরে প্রভিডেন্ট ফান্ডে বাদীর পাঁচ লাখ ৭৬ হাজার টাকা জমা হয়। এরমাঝে আসামি নজরুল ইসলাম বাদীর সাথে খারাপ আচরণ করেন। ফলে বাদী সেখানে আর চাকরি করবেন না বলে জানিয়ে দেন। ফলে বাদীর ওপর আসামি ক্ষিপ্ত হয়ে এক নারীর সাথে বাদীর তোলা ছবি খারাপভাবে এডিটিং করে ব্লাকমেইল করেন।
বাদী আরও অভিযোগ করেছেন, গত ১৬ মে বিকেল ৪টার দিকে আসামি ও সাক্ষীদেরকে বাদীর বাসায় ডেকে আনা হয়। এসময় আছাদুল্লাহ বলেন তার কোম্পানিতে চাকরি না করা এবং প্রভিডেন্ট ফান্ডে থাকা পাঁচ লাখ ৭৬ হাজার টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে এই কাজ করা হয়েছে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করতে ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে মামলাটি করেছেন।